করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ

প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই হাজার ৯২৮ জনে।
রোববার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৭৫ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ২৩ হাজার ৮৮২ জনে।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৪৪১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১০ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫৮টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ২৭৫ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জনে।’

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের পুরুষ ৪০ জন এবং নারী ১৪ জন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৭ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৭ জন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী ৩ জন ছিলেন।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘মৃতদের ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, রাজশাহী বিভাগের ৭ জন, খুলনা বিভাগের ৮ জন, সিলেট বিভাগের ৬ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন ও রংপুর বিভাগের ছিলেন একজন।’

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।