করোনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনা জয় করে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৩৮ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৫৩ হাজার ১৩৩ জন। সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ।

শুক্রবার দুপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো এক হাজার ৬৬১ জনে। নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দঁড়ালো ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জন।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘৬৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ হাজার ২৭৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৪৯৮টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৬ লাখ ৯৬হাজার ৯৪১টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৮৬৮ জনের মধ্যে। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন করে যে ৪০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন ও নারী ৯ জন। এ নিয়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট মারা গেলেন ১ হাজার ৬৬১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। তাদের মধ্যে ৩১ জন হাসপাতালে এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।’

ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৪০ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়- ১ থেকে ১০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন। ‘

তিনি বলেন, তাদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, বরিশাল বিভাগের ৪ জন ও রংপুরে বিভাগের ৩ জন রয়েছেন।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান বুলেটিনে।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।