কোনো পক্ষ না নিয়ে ডিসি-এসপিদের কাজ করার পরামর্শ সিইসির

প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের কোনো দলের পক্ষ না হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৬১ জেলার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের সাথে সভায় তিনি এমন পরামর্শ দেন।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার ও স্থানীয় সরকারি সংস্থা গঠনের গুরুত্ব সকল ডিসি ও এসপিদের বুঝতে হবে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে আপনাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব-সচেতন হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই আপনাদের কর্ম ও আচরণে এমন কিছুর প্রতিফলন যেন না হয় যাতে জনগণ ভাবতে পারে যে আপনারা কোনো একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যেকোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কাঙ্ক্ষিত মান ও আদর্শকে সমুন্নত রাখবেন। গণতন্ত্রের প্রয়োগ, চর্চা ও বিকাশে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে আপনাদের।

তিনি আরও বলেন, ইভিএম প্রশ্নেও বিতর্ক রয়েছে। আমরা কেবল বিশ্বাস করি না, প্রমাণ পেয়েছি ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী সহিংসতা ও কারচুপি নিয়ন্ত্রণ সহজতর। অনূর্ধ্ব ১৫০টি আসনে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। তবে প্রয়োজনে সকল আসনে কিংবা ১৫০-এর অধিক আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও সামর্থ্য আমাদের থাকবে। সে লক্ষ্যে নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসনকেও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সামর্থ্য ও প্রস্তুতি রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে একই দিনে একই সময়ে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। কর্মযজ্ঞটি সহজসাধ্য না হলেও, অসাধ্য নয় এবং সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে সার্থকভাবেই সাধন করতে হবে।