ডা. জাফরুল্লাহর ফুসফুস ও গলার সংক্রমণের উন্নতি হচ্ছে

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ফুসফুস ও গলার সংক্রমণ ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার ফুসফুস ও গলার সংক্রমণের ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস, বিশেষায়িত চেস্ট ফিজিও থেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসা চলছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেই নাশতা করেছেন। গতকাল রাতে ডিউটি ডাক্তার দেখে জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। অক্সিজেন দেওয়া ছাড়াই অনেক সময় পর্যন্ত থাকতে পারছিলেন। সবকিছু মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গলায় ইনফেকশনের কারণে এখনো তার কথা বলা বন্ধ রয়েছে। কিছু বলতে চাইলে চিরকুটের মাধ্যমে লিখেই জানাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে আবার তার এক্স-রে করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক জানিয়েছেন, আগের (১১ জুন) এক্স-রে রিপোর্টের চেয়ে এই রিপোর্টে দেখা গেছে, ফুসফুসের সংক্রমণ অল্প পরিমাণ কমেছে। তার চেয়েও বড় কথা ফুসফুসের অবস্থা আরও খারাপ হয়নি।’

ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড ও ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বিত বোর্ডের মাধ্যমে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসা চলছে।

গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি আক্রান্ত হওয়ার পর তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।