দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের রাষ্ট্রপতির ঈদের শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ঈদ উপলক্ষে দেয়া শনিবার এক বাণীতে তিনি সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ঈদ-উল-আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ:) কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ:) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। ‘

তিনি বলেন, ‘কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিগত দু’টি বছর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির বিভীষিকার মধ্যেই ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করেছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। করোনা মহামারি ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নিম্নআয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছে।’

তারাও যাতে ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত না হয় এবং ঈদোৎসবে শামিল হতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি দেশের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন থাকা আবশ্যক।’

সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করে এবং কুরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দুষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-উল-আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।’ বাসস।