আত্মগোপনে ছিলেন ত্ব-হা, থাকবেন পুলিশ হেফাজতেই : ডিবি

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ; ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ব্যক্তিগত কারণে গাইবান্ধায় তার বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই থাকবেন ত্ব-হা।
শুক্রবার বিকেলে রংপুর ডিবির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবি কর্মকর্তারা।

উদ্ধারের পর তাকে রংপুর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে রংপুরে তার প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে তিনি গাইবান্ধায় ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, মা ও ভাইয়ের জিডির সূত্রে আমরা (ত্ব-হার) অনুসন্ধান করতে থাকি। আজকে আমরা গোপন সূত্রে জানতে পারি ত্ব-হা তার (রংপুর নগরের) চারতলার মসজিদে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আছেন। সেই সংবাদ পেয়ে আমরা তাকে নিয়ে আসি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আমরা অপর সঙ্গীদেরও সন্ধান পাই।

তিনি বলেন, গাইবান্ধায় বন্ধু সিয়ামের বাসায় ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন চারজনেই। বন্ধু বাসায় না থাকলেও তার মায়ের কাছে ছিলেন এরা। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ত্ব-হা আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সফরসঙ্গীরাও তাদের ফোন বন্ধ করে ত্ব-হার কাছে রেখে দেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ত্ব-হা রংপুর নগরীর কলেজ রোডে চারতলা মোড়ে প্রথম স্ত্রীর ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। এরপর তাকে সেখান থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ত্ব-হার পারিবারিক বাড়ি রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের আহলে হাদিস মসজিদ এলাকায়। তিনি প্রথম স্ত্রী হাবিবা নূর, দেড় বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়েকে নিয়ে শালবন মিস্ত্রীপাড়া চেয়ারম্যান গলিতে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। শুক্রবার সেখান থেকেই তাকে ডিবি পুলিশ উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়।

আর ঢাকার পল্লবীর লালমাটিয়া এলাকার এক বাসায় থাকেন ত্ব-হার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার।

গত ১০ জুন দিবাগত রাত থেকে কোন খোঁজ মিলছিল না আবু ত্বহা, তার দুই সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনের। সেদিন বিকেল ৪টার দিকে ওই তিনজনসহ আবু ত্ব-হা রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকার পথে রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে তিনি সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান।