সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানির আদেশ রোববার

প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে আদেশ আগামী রোববার দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারক বলেন, এ বিষয়ে তিনি পরে আদেশ দেবেন।

আদালতে রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানিতে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

শুনানিতে জামিনের বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলাটি জামিন অযোগ্য ধারায় বিধায় এ আদালতে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, সিক্রেট অ্যাক্টের ৩ ধারায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলার বর্ণানা অনুযায়ী তা এ মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

এহসানুল হক বলেন, অপর যে ৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো সবই জামনিযোগ্য। এছাড়া তিনি জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার মতো ব্যক্তি নন। তিনি একজন নারী এবং তার একজন শিশু সন্তান রয়েছে। তাই তিনি পালিয়ে যাবেন না। এ কারণে তিনি জামিন পেতে পারেন। সর্বোপরি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ। জামিন অযোগ্য অপরাধের উপাদান এজাহারে প্রকাশিত না হওয়ায় রোজিনা ইসলাম জামিন পাওয়ার যোগ্য।

এর আগে পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে। একই সঙ্গে রোজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবীরা। ওই দিন শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন এবং রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন আদালতের নির্দেশে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রোজিনা ইসলামের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন বলে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। জামিন চেয়ে তাঁর করা আবেদনের ওপর আজ বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুয়ালি শুনানি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোজিনা ইসলাম গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাঁকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁকে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী হন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।