১৪৪ ধারা জারি, সমাবেশ থেকে পিছু হটেছে হেফাজত

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারির পর পিঁচু হটেছে সংগঠনটি।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম যাতে কোনভাবেই এই সমাবেশ করতে না পারে এবং সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ মাঠ এবং নিমতলা বাসস্ট্যান্ডসহ চারটি জায়গায়।

গত সপ্তাহের হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের সময় মুন্সীগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ ও হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা আহত হয়েছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতে ইসলামের সহিংস বিক্ষোভের সময় মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সিরাজদিখান উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সংগঠনটি।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারীর পর বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পিছু হঠেছে হেফাজতে ইসলাম। বুধবার সন্ধ্যায় তারা সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

এর আগে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোনেম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে হেফাজতে ইসলাম যদি সভা-সমাবেশ কিংবা লোক জড়ো করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সুপার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনওভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল জানিয়েছেন, যে কোন ধারণের সংঘাতের আশংকায় ৫০০’র বেশি পুলিশ সদস্য ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, হেফাজতে ইসলামের সহকারী প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়সাল জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে এবং মুন্সীগঞ্জের ওই এলাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা জড়ো হবেন না।

পুলিশ কঠোর হবার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে মি. ফয়সাল বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নিজেরাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া, প্রশাসনের তরফ থেকেও আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা।