মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করবে, জামুকাকে না : মেজর হাফিজ

প্রকাশিত: ৭:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃসরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের মতো সেরা মুক্তিযোদ্ধার খেতাব নিয়ে টানাটানি করে আপনারা নব্য রাজাকারে পরিণত হবেন না। জনগণ আপনাদের ঘৃণার চোখে দেখবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ থেকে একশ বছর পরে কে দেখবে, কে জামুকা আর কে কী ছিল? কিন্তু তখন জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।’

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপ্রদত্ত জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মেজর হাফিজ বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ ছিল কিভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায়। এখন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আগ্রাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আজ লুটেরা, ব্যাংক চোর, দুর্নীতিপরায়ণ সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞে সাধারণ মানুষ যখন ভীত সন্ত্রস্ত, রাজনৈতিক নেতারা পলায়নপর, সেসময় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সে ঘোষণা জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে, আশার সঞ্চার করেছে। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক মাইলফলক।’

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, গণফোরাম নেতা মোস্তাক হোসেন প্রমুখ।