বাসে আগুন, বিএনপি নেতার ফোনালাপ ফাঁস

প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিনে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর এ বিষয়ে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এসেছে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে তাতে যুবদলের কথা উঠে এসেছে। আগুন দেওয়ার বিষয়টি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রাই চৌধুরীকে অবহিত করেন দলটির এক নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন।

ফোনালাপটি তুলে ধরা হলো:

ফরিদা: দাদা আদাব। আমি ফরিদা বলছি। পার্টি অফিসে তো আমি আটকা পড়েছিলাম এতক্ষণ। ওই যে গাড়ি পুড়াইছে ছেলেপেলে। ১১টার সময় আসছি প্রেস কনফারেন্সে, এখন তো এখানে আটকা পড়ে দেরি হয়ে গেলো।

নিতাই: গাড়ি পুড়াই ফেলছে?

ফরিদা: হ্যাঁ…হ্যাঁ…।

নিতাই: কোন জায়গা?

ফরিদা: এই যে পার্টি অফিসের সামনেই, স্টাফ গাড়ি পুড়াইছে। র‌্যাব, পুলিশ সব পুড়া পার্টি অফিস ঘেরাও দিয়ে রাখছে।

নিতাই: গাড়ি কোনটা পুড়াইছে?

ফরিদা: স্টাফ…পুলিশের স্টাফ গাড়ি থাকে না? ওগুলোর মধ্যে আগুন দিছে যুবদলের ছেলেরা।

নিতাই: কয়টা, কয়টা গাড়ি?

ফরিদা: পার্টি অফিসের সামনেই। একটা গাড়ি।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে সাড়ে চারটা। এই সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর অন্তত ৯টি স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হঠাৎ এই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীজুড়ে। তবে ঘটনার পর কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে, গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুরো ঘটনাকে সরকারের ষড়যন্ত্র দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে হেয় করে দলীয় কর্মীদের গায়েবী মামলায় ফাঁসাতেই এ চক্রান্ত।

রাজধানীজুড়ে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে বিএনপি।

বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি থানায় ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

থানাগুলো হচ্ছে- পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, ভাটারা, কলাবাগান ও বংশাল। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে শাহবাগ থানা পুলিশ ৬জন, পল্টন থানা ৯জন, বংশাল থানা ২জন, কলাবাগান থানা ২জন ও মতিঝিল থানা ১জন গ্রেপ্তার করেছে।