এমসি কলেজের ঘটনায়ও শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৬:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০ নিউজ ডেস্ক : সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে আইন নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার বিভাগের ওপরও সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। দেশের মানুষ দেখেছে, নিজ দলের সমর্থক কিংবা নেতারাও অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি। সিলেটে এমসি কলেজের ঘটনায়ও শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে। অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না। বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগের পুরোনো কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণও একধরনের ষড়যন্ত্র। বিএনপি উপনির্বাচনে অংশ নেয়ায় আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণও একধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনে প্রচার না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, মাঠে না থেকে, অভিযোগের পর অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির যে পুরোনো কৌশল তাতে মরিচা ধরেছে। জনগণ আর বিএনপির মিথ্যাচারে বিশ্বাস করে না। কাদের বলেন, দলের কর্মীরা নির্বাচন করতে চাইলেও নেতারা দিচ্ছেন না। তারা জনগণের মনের কথা তো বুঝেই না, দলের কর্মীদের মনের কথাও বুঝতে পারে না। লোক দেখানো অংশগ্রহণে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। নির্বাচনে হারার আগেই হেরে যাওয়ার দ্বান্দ্বিক বৃত্ত থেকে বিএনপি এবারও বেরিয়ে আসতে পারেনি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনমানুষের আস্থা আবারও প্রমাণিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বিরামহীনভাবে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও কারান্তরীণ করছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। আমরা মনে করি, এ অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির চিরাচরিত মিথ্যাচার। বিএনপির কোন কেন্দ্রীয় নেতাকে কিংবা কোন জেলা পর্যায়ের নেতাকে গ্রেফতার করেছে, জেলে দিয়েছে, বলুন। সরকার দমননীতিতে বিশ্বাসী নয় বরং আপনাদের সাথে মানবিক আচরণ করছে। বেগম জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিতে মানবিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। সেটা কি আপনারা ভুলে গেছেন? শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ না থেকে বিএনপি অবিরাম মিথ্যাচারের ফানুস উড়াচ্ছে। শিল্পাচার্য জয়নুলের চিত্রকর্মের আটকে পড়া গরুগাড়ির মতো বিএনপির রাজনীতি এখন মিথ্যাচারের চোরাবালিতে আটকে আছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, রাজনীতির মাধ্যমে মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন। তার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মেহনতি-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যেমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেরও প্রতিচ্ছবি। কাদের বলেন, তাই দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বারবার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চালায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। জনকল্যাণে যাদের গা-জ্বালা করে তারা অহর্নিশ শেখ হাসিনাকে অভিসম্পাত করতে পারে। কিন্তু জনগণের অক্ষয়-অকৃত্রিম ভালোবাসা তার চাইতে কয়েকগুণ শক্তিশালী। প্রতিবারই সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় জনগণের অক্ষয় ভালোবাসা ও আশীর্বাদে তিনি মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন বাংলার মানুষের দুর্দশা-দুর্ভোগ লাঘবের জন্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৮১ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। তিনি দলের দায়িত্ব নিয়েই জেনারেল জিয়ার সামরিক শাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্ত হন। তারপর থেকেই এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তিনি অবিরাম কাজ করে চলেছেন। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই জনপদে আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা সবসময় দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়ার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাক বা না থাক যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেয় আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজে সেই ত্রাণবিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৮ সালের ৯ মাসব্যাপী বন্যার সময় যখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দেড় কোটি মানুষ মারা যাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল তখন শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একজন মানুষকেও না খেয়ে মারা যেতে হয়নি। Share this:FacebookX Related posts: আজ শেখ রেহানার জন্মদিন শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন চূড়ান্ত অনুমোদন ধোবাউড়ায় আওয়ামী রাজনীতির গ্রুফিং উত্তেজনা চরমেঃ কঠোর অবস্থানে প্রশাসন বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো পারাপার সরকার শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে -সিটি মেয়র শপথ গ্রহণ করলেন মহিউদ্দিন, স্মৃতি ও মিলন দেশে কখন কি ঘটে বলা যায় না বিএনপিকে স্বাগত জানালেন কাদের প্রায় আট মাস পর বসেছে আ.লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভা আ.লীগ দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ : ফখরুল শার্শার ১১টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গনের হাতে করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী তুলেদেন এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার: কৃষিমন্ত্রী SHARES Matched Content রাজনীতি বিষয়: অবস্থানেএমসিকঠোরকলেজেরঘটনায়ওশেখসরকারহাসিনা