‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিনের বিষয়টা ভাবা হচ্ছে’

প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সাশ্রয়ের স্বার্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করা যায় কি না সরকার সে বিষয়টা ভেবে দেখছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা যায় কি না সে বিষয়টা ভেবে দেখছি। আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। সেটাকে আমরা এ বছর থেকেই বাস্তবায়ন করবো কি না তা ভেবে দেখছি। এ মুহূর্তে কোন সিদ্ধান্ত বলতে পারছি না। তবে আমরা এটা নিয়ে ভাবছি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘গবেষণার ফল বলছে- করোনায় আমাদের শিক্ষার্থীদের কোন ঘাটতি ঘটেনি। বরং এটা সাপে বর হয়েছে। তাদের (শিক্ষার্থীদের) স্ব শিক্ষার দক্ষতা তৈরি হয়েছে। করোনায় তারা নিজেরা শিখেছেন। সবাই ড্রপ আউট, ড্রপ আউট করে। আমরা দেখেছি ড্রপ আউট হয়নি।’

দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সক্ষমতা হিসাব না করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির একটা প্রবণতা আছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এই প্রবণতা আছে। ঢাকা শহরের সবচেয়ে নামি প্রতিষ্ঠানে প্রতি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৬৬ জন তারা সেটি ৭৫ জনে উন্নীত করতে চায়। আমি বলেছি বাড়ানো তো হবেই না বরং কমাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে ধরনের উন্নয়ন চাই, যে ধরনের উন্নয়নের কথা বলছি, সেটি এভাবে হবে না। একজন শিক্ষক ক্লাসে এতো শিক্ষার্থী কীভাবে পড়াবেন। তার পক্ষে সবাইকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব না। আমরা মান বাড়ানোর চেষ্টা করবো, পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে। মান ঠিক রাখতে হলে, সংখ্যায় বাড়ানোর প্রবণতা রোধ করতে হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি অনিবার্য কোনো কারণ না ঘটে।’

সাংবাদিকদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত সব সময় জনপ্রিয় হয় না। তারা (সাংবাদিকরা) তো সব সময় জনপ্রিয় সংবাদ খোঁজেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সরকার সময়মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে যদি কৃচ্ছ্রতা সাধনে না যাই, তাহলে সামনে আমরা বিপদে পড়বো।’