পঙ্গু হাসপাতালে ঈদের ৩ দিনে দেড় হাজার রোগী

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদুল আজহাকে ঘিরে সাংবাদিক মেরিনা মিতুর একগুচ্ছ পরিকল্পনা ছিল। তবে সবই সড়ক দুর্ঘটনায় মাটি হয়ে গেছে। কাতরাচ্ছেন হাসপাতালের বিছানায়। এরকম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকার নিটোর হাসপাতালে ঈদের তিনদিনে কয়েকশ রোগী ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার রাতে (১১ জুলাই) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর সেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশিরভাগ রোগী এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে। কেউ ঈদে বাড়ি ফিরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পা, কেউ বা হাত। আবার কেউ কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানি দিতে গিয়ে নানাভাবে আহত হয়েছেন।

হাসপাতালের হেল্প ডেস্কে কর্মরত প্রান্ত দাস জানান, সাধারণত দৈনিক ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ জন রোগী ভর্তি হয়। অথচ ঈদের তিনদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় হাত-পা ভেঙে ভর্তি হয়েছেন ৩৩০ জন রোগী। এছাড়া জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১২ শতাধিক মানুষ। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ নানাভাবে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

হাসপাতালটির পরিচালক আব্দুল গণি মোল্লা বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের ঈদে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা কম ছিল। সব মিলিয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশের বেশি না। তবে অন্যান্য যানবাহন ও কোরবানির পশুর আঘাতে আহতদের সংখ্যা বেশি।

তবে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ভর্তি রোগীদের বেশিরভাগ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার।

হাসপাতালের ১১০৮ নম্বর কেবিনে এবারের ঈদ কেটেছে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাজনৈতিক প্রতিবেদক মেরিনা মিতুর। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলে পথে পেছন থেকে একটি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। গত দুদিন আগে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।

হাসপাতালের আরেক রোগী নারাণগঞ্জের রাকিব (৩৬)। ঈদের দিন বাসার সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হয়ে রাতে পঙ্গু হাসপাতালে এসেছেন। তার বাম হাত ভেঙে গেছে।