‘বঙ্গবন্ধুর জীবনচর্চা আমাদের মানবিক জীবনবোধ শেখায়’

প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন শিশুদের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি এক মহিরুহ, একটি উদ্দীপনার নাম। বঙ্গবন্ধুর জীবনচর্চা আমাদের মানবিক জীবনবোধ শেখায়। তিনি শিশুদের ভালোবাসতেন। শিশু-কিশোরদের মাঝে তার মানবিক গুণগুলো তুলে ধরার প্রচেষ্টা চলছে।’

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে খাদ্য ভবনের নিচতলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের নেতৃত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় খাদ্যসচিব বলেন, শোষণ-বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অতি অল্পসময়ে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সংবিধান উপহার দিয়েছেন জাতির পিতা। যেখানে দেশের আপামর জনতার চাওয়া-পাওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্র ভূমিহীনদের বসবাসের ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়াচ্ছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বের রোল মডেল করেছেন।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম। এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুজিবুর রহমান, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক রায়হানুল কবীর ও ঢাকার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন কুমার দাস বক্তব্য রাখেন।

সভা শেষে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎবরণকারী জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।