২ ডোজ কোভিশিল্ড নেয়া ৯৩ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার চার সপ্তাহ পর ৪১ শতাংশ গ্রহীতার শরীরে ও দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর ৯৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম সামসুজ্জামান এ তথ্য জানান।

ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীসহ ৩০৮ জনের নমুনা নিয়ে পাঁচ মাস গবেষণা শেষে আজ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ১ম ও ২য় ডোজের পর অ্যান্টিবডি রেসপন্সের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণাটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়ালজি বিভাগে সম্পন্ন হয় এবং একদল গবেষক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম সামসুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি শেষ করেন। গবেষণার সময়কাল ছিল পাঁচ মাস।

গবেষণায় ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারী থেকে ৩০৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১ম ভ্যাকসিন দেওয়ার চার সপ্তাহ পর নমুনা (রক্ত) সংগ্রহ করা হয় এবং ৪১ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। ২য় ভ্যাকসিন দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৯৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর শরীরে অ্যান্টিবডি উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়।

ভারতের সেরাম থেকে আনা অক্সফোর্ডের টিকা নিতে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করেন প্রায় ৭৫ লাখ মানুষ। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৪৩ লাখ মানুষ। যদিও এ পর্যায়ে এসে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ অনিশ্চিত।

এ অ্যান্টিবডি করোনামুক্তির গ্যারান্টি না দিলেও মারাত্মক অবস্থা থেকে রক্ষা করে অর্থাৎ মৃত্যু ঝুঁকি কমিয়ে আনে। ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি থাকতে পারে। তবে বুস্টার ডোজ লাগবে কি না সেটি নিয়ে এখনও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে গবেষণায় সার্বিক সহযোগিতা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী।