শেখ হাসিনার সরকার আলেম সমাজের খেদমতে নিয়োজিত: তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা মো.ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর ড. মুফতি মাওলানা কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী।
অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বক্তব্য রাখেন ডঃ মুফতি কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটের হুজুর মাওলানা আলহাজ্ব আবু হানিফ পীর সাহেব মধুপুর টাঙ্গাইল, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ সভাপতি ঢাকা মহানগর উত্তর, হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুফতি সানাউল্লাহ কাজী, মাওলানা মো. আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা মুফতি নুরুল ইসলাম,মাওলানা মুফতি হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী হায়দার, মাদারীপুর মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম পাবনা মাওলানা মো. আবু জাফর, পিরিজপুর, সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার আলেমদের খেতমতে নিয়োজিত। বিএনপি সরকার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকে দীর্ঘ দিন মুলা ঝুলিয়ে রেখেছিল। তাঁরা কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের প্রাণের দাবি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছেন। কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চাকরিও দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছেন। সারাদেশের মসজিদভিত্তিক মক্তবের ৮৪ হাজার ইমাম শিক্ষককে প্রতি মাসে বেতন ভাতা দিয়ে ইসলামের প্রচার প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন প্রধানমন্ত্রী।
নামধারী কিছু আলেমের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছু লোক ইসলামের নামে দেশে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরা যাকাত-ফিতরার টাকাও নিজের একাউন্টে জমা নেয়। মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী ও মাওলানা মামুনুল হকের অর্থের ফিরিস্তি বেরিয়ে আসছে। মাওলানা মামুনুল হক পরের স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যায়।
হক্কানি আলেমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইসলামের কথা বলে যারা মানুষের ঘর-বাড়ি ভূমি অফিস ও ফায়ার সার্ভিস জ্বালিয়েছে তারা ইসলামের শত্রু। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কারা ইসলামের খেদমত করছে তা’ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভোট আসলেই বিএনপি মুসলমানের ভেস ধরে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। বিএনপি সরকারের শাসনামলে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। সে সময়ে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করার দাবি তুলেছিল। কিন্ত বিএনপি ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে দেয়নি। তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এসব বিষয় স্মরণ করার অনুরোধ জানান। আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কওমি মাদরাসা ও হিফজখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।
তথ্য মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ইসরাইলি রাষ্ট্র আমরা মানি না। ফিলিস্তিনি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিত মজলুম ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি মনে প্রাণে সমর্থন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি পুর্নসমর্থন অব্যাহত রাখছে। বর্তমান সরকার ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেনি। কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে ইসরাইল যেতে দেয়া হবে না এবং ইসরাইল থেকেও কাউকে এদেশে আসতে দেয়া হবে না বলেও তথ্য মন্ত্রী উল্লেখ করেন।