কক্সবাজারে মসজিদ, রাস্তায় ও খোলা আকাশে পর্যটকদের রাত যাপন

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃকক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। হোটেল-মোটেল কিংবা রিসোর্টে জায়গা না পেয়ে সৈকত, মসজিদ, রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন পর্যটকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পর্যটকদের এমন দুর্ভোগের খবর আর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

স্থানীয় হোটেল কর্তৃপক্ষ আর জেলা প্রশাসন বলছে, ১৯ শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে গত দুদিনে প্রায় ৪-৫ লাখের মতো মানুষ পর্যটন শহরটিতে অবকাশ যাপনে গেছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় অবকাশ গন্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম কক্সবাজার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতও বটে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিভিন্ন দেশ ভিসা বন্ধ রাখায় একবছর ভ্রমণ পিপাসু মানুষ দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে পারেনি। ঘরের মধ্যে একপর্যায় বন্দি অবস্থায় থাকতে হয়েছে। তবে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা আসায় মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভীতি কিছুটা কমেছে। একুশে ফেব্রুয়ারিসহ বেশ কয়েকদিন সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষ কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে ভিড় জমিয়েছে। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। হোটেল-মোটেল কিংবা রিসোর্টে জায়গা না পেয়ে সৈকত, মসজিদ, রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন পর্যটকরা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মতে, সরকারি ছুটিতে সমুদ্র সৈকতে এবার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এখানে প্রায় ৫ লাখ মানুষ পর্যটন শহরটিতে অবকাশ যাপন করছেন।

কক্সবাজারের একটি হোটেলের মহাব্যবস্থাপক জানান, করোনা মহামারি সময়ে পর্যকরা ঘরবন্দি অবস্থায় ছিলেন। এখন মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। সেজন্য কক্সবাজারের পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। গত দু’দিন হোটেল অতিথি ভর্তি ছিলো। আজও রয়েছে। তবে আগের দু’দিনের তুলনায় কিছুটা কম। হোটেল-মোটেলে সিট সংকট থাকায় অনেক পর্যটকদের রাস্তায় ও বিচের খোলা জায়গায় রাত কাটাতে দেখেন।

পর্যটকদের সামাল দিতে স্থানীয় মসজিদগুলোও সারা রাত খোলা ছিল বলে জানান তিনি। যেখানে অনেক পর্যটক রাত কাটিয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁ এবং বার রাত বারোটার পর বন্ধ হয়ে যাওয়া সেগুলোও সারারাত খোলা ছিল।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, এবার বিভিন্ন কারণে কক্সবাজারে পর্যটক বেড়েছে। এক সাথে অনেক পর্যটক যাওয়ার কারণে ব্যবস্থাপনায় সমস্যা তৈরি হয়। একে তো শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটি। তার সাথে একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে আরো একদিন ছুটি যোগ হয়েছে। যার কারণে মানুষ ঘুরতে বের হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরীণ জানান, করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, ভ্যাকসিন নেয়া শুরু হওয়া, এক সাথে বেশ কয়েক দিন ছুটি এবং আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে মানুষ কক্সবাজারকে তাদের বিনোদনের কেন্দ্র ধরে নিয়ে সেখানে ভিড় করেছে। এছাড়া প্রতিদিন কমবেশি ৫০ হাজার পর্যটক যাওয়া-আসা করেন। যাযাদি/এস