‘সমৃদ্ধ ‘ব-দ্বীপ’ গড়ার লক্ষ্যেই শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন’

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সরকার ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ প্রণয়ন করেছে।’

বুধবার সকালে একদশ জাতীয় সংদের একাদশ অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার একটি তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিরাপদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব সহনীয় সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই তাঁর সরকার বাংলাদেশ ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষত এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকে অতিক্রম করে দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জল ও খাদ্য সুরক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ উচ্চতর পর্যায়ের ৩টি জাতীয় অভীষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রণীত। যেগুলো হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র দূরীকরণ এবং এই একই সময়ের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং ২০৪১ নাল নাগাদ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অজন করা।’

তিনি বলেন, ‘আন্তঃদেশীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নৌপরিবহন স্যানিটেশন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট সকল খাত বিবেচনায় রেখে দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সমগ্র একুশ শতক ব্যাপী ১৭টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এই মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা জিডিপি’র আড়াই শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘৮০টি প্রকল্পের মধ্যে বর্তমানে ২৭টি প্রকল্প সরকার ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া ডেল্টা ফান্ডের কাঠামো ও ফান্ড পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে।’

এ প্রসঙ্গে ১০ বছর মেয়াদী প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০ থেকে ২০২১) এবং দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) প্রণয়নেও সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।