রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ কোনো কাজে আসেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২১

নিউজ ডেস্কঃ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা কোনো কাজে আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি টিম মিয়ানমার গিয়েছিল, যেখানে স্টেট কাউন্সিলর ও কয়েকজন জেনারেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সেখানে অনেক সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যৌথ কমিটি, বর্ডার কন্ট্রোল কমিটি হয়েছিল কিন্তু সেগুলো কোনো কাজে আসেনি।

বুধবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির প্রথম সভা শেষে এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের মূল কাজ হলো যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া। প্রত্যাবাসনের জন্য যা যা করণীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আমরা তা করে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে চীন, জাপান ও জার্মানির সঙ্গে মিটিং করেছেন। তিনি আশাবাদী যাদের আইডেন্টিফাই করা হয়েছে তাদের হয়তো যাওয়া শুরু হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যে ফর্মুলা দিয়েছেন সেটা ফলো করে যত তাড়াতাড়ি প্রত্যাবাসনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগত দিনে অনেকবার (মিয়ানমার) গিয়েছেন, অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু কোনোটাতেই কাজ হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও আমাদের কনফার্ম করেছেন— বাইল্যাটারাল, ট্রাইল্যাটারাল, মাল্টিল্যাটারাল সমভাবে তিনি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আশাবাদী তারা (মিয়ানমার) খুব শিগগিরই রোহিঙ্গা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। যেখানে প্রয়োজন আমরা যাচ্ছি। আমি গিয়েছি, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়েছেন, আমাদের বর্ডার গার্ড লেভেলে আলোচনা চলছে। মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসেছেন, সবই হচ্ছে— তারপরও রেজাল্ট হচ্ছে না, আমি এটাই বলছি। তারা (মিয়ানমার) অনেক কিছু কমিটমেন্ট করছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না।

আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, কক্সবাজারে ১৮০টি এনজিও কাজ করছে। ভাসানচরে ইতোমধ্যে ২২টি এনজিও কাজ শুরু করেছে। নিবন্ধন না থাকায় এনজিও ব্যুরো কয়েকটি এনজিওকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা ওখানে কাজ করতে পারবে না।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যেসব এলাকায় বন ধ্বংস হয়েছে সেখানে বনায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।