পরিচয়ধারীদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

নামসর্বস্ব পত্রিকা ও সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এদেশের সাংবাদিকদের অত্যন্ত মেধাবী, প্রাজ্ঞ এবং সুলেখক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, তাদের রিপোর্টিং সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে, ভাষাহীনকে ভাষা দিতে ও ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করতে পারে, যা অনেক সাংবাদিক নিষ্ঠার সাথে করে আসছেন।

তিনি দুঃখ করে বলেন, কিছু সাংবাদিক পরিচয়ধারী, যারা আসলে সাংবাদিক নয়, তাদের কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের বদনাম হতে পারে না। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি, যেখানে সাংবাদিক ভাইদের, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর এবং সাংবাদিকদের অন্যান্য সংগঠনগুলোসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু এই অব্যবস্থা একদিনে হয়নি, দশকের পর দশক হয়ে আসছে, এটি ঠিক করতেও কিছুটা সময় লাগবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পদত্যাগ করায় ধন্যবাদ জানাই। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ে জনমনে অনেক অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল, বিশেষ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি তার পদত্যাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

বন্যা নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, বন্যার পানি কি বাংলাদেশে এই প্রথম এলো! দেশে তো প্রতি বছরই বন্যা হয়, ঢাকা শহরেও প্রতিবছর পানি ওঠে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল যখন বুঝি বন্যা হয় নাই?

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের বন্যায় বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানসহ বহু মন্ত্রী-নেতার বাড়ির চারপাশে নোংরা পানি ছিল। এবং তারা গুলশান লেক সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিল বলেই তা ঘটেছিল।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমেরিকান চেম্বার অভ কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম)-এর পক্ষ থেকে ‘অ্যামচ্যাম কোভিড-১৯ ফ্রন্টলাইন এওয়ার্ড’ প্রদানের ঘোষণাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হন।

মন্ত্রী তাদের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও যে সমস্ত সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মাঠ প্রশাসন সদস্যসহ যারা জীবনে হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছেন, এবং যারা এই সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করার এই উদ্যোগকে আমি অভিনন্দন জানাই।

ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় যাতে মানুষ এবারের মতো অসহায় হয়ে না পড়ে সেজন্য প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে বৈশ্বিকভাবে ভাবতে হবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের উদ্যোগ, গবেষণা ও মনোনিবেশের অভাবে আরো কোনো মারাত্মক মহামারি মোকাবিলায় আমরা অসহায় না হয়ে পড়ি।