মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু, প্রথম ব্যাচে গেলেন ৫৩ জন

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় ৫৩ জন বাংলাদেশিকর্মী পৌঁছেছেন দেশটিতে।

এর আগে গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই কর্মীদের নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইট মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম জানান, প্রথম ব্যাচে ৫৩ জন মালয়েশিয়া পৌঁছেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে তাদের বহনকারী এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সেখানে তাঁদের স্বাগত জানান মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

২০১৮ সালের আগস্টে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধের ঘোষণা আসে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে। দীর্ঘ আলোচনা-যোগাযোগের পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা সই হয়। পরে গত জুন মাসে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে জুনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ঘোষণা দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের। সব দীর্ঘসূত্রতা কাটিয়ে অবশেষে দেশটিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।

বিএমইটি সূত্র বলছে, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এসব কর্মী ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসেবে মালয়েশিয়ায় গেলেন। তাদের বেতন ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩২ হাজার টাকা। শর্ত অনুসারে তাদের চুক্তি তিন বছরের। ওয়ান ওয়ে প্লেন ভাড়া, বাসস্থান ও যাতায়াত ফ্রি পাবেন কর্মীরা। তবে খাবার ব্যবস্থা করতে হবে নিজেকে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের উন্মুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ায় আবারও বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। আগে তিন লাখ, চার লাখ, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে মানুষ সেখানে যেতো। আমাদের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় এটা কমে এসেছে।