মৃত্যু পরোয়ানা শুনলেন যুদ্ধাপরাধী আজহার দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এ টি এম আজহারুল ইসলামকে এ পরোয়ানা পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে সোমবার গভীর রাতে লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানাটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ টি এম আজহারুল ইসলামের আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করে তার সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন। নিয়ম অনুযায়ী এখন তিনি ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে এই আবেদন না করলে যেকোন দিন রায় কার্যকর হতে পারে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করে দণ্ড পরিবর্তন হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সব যুদ্ধাপরাধী রিভিউ আবেদন করেও রায় বদলাতে পারেনি। রিভিউ আবেদন খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে হবে। তিনি যদি প্রাণ ভিক্ষা না চান এবং চেয়েও যদি ক্ষমা না পান তাহলে রায় কার্যকরের ক্ষণগণনা শুরু হবে। রায় কার্যকরের আগে তিনি শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে একইসঙ্গে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর তার সেই সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রোববার (১৫ মার্চ) আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছানোর পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপরই মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়। এ টি এম আজহারুল ইসলাম একাত্তরে ইসলামী ছাত্রসংঘের জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সে সময় তার নেতৃত্বেই বৃহত্তর রংপুর এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ বর্বরতা চালানো হয়। রায়ে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা চালিয়ে অন্তত এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা ও নিজেই ১৪ জনকে খুনের অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের দেয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে খালাস চেয়ে ২ হাজার ৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত এই যুদ্ধাপরাধী। এরপর ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট এক আদেশে আপিল বিভাগ আসামি পক্ষকে সারসংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার পর গত বছরের ১৮ জুন সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলার শুনানি শুরু হয়ে ১০ জুলাই শেষ হয়। ২০১২ সালের ২২ আগস্ট এই মামলায় এ টি এম আজহারকে মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। Share this:FacebookX Related posts: পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা পিলখানা ট্র্যাজেডি : হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ সরকার নারী নির্যাতনের ঘটনাকে বিচারহীন অবস্থায় রেখে দিতে চায় না: আইনমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধী আবদুস সুবহান মারা গেছেন উত্তরায় নকল এন-৯৫ মাস্কের সন্ধান আপাতত বন্ধই থাকছে দেশের সব আদালত সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন অস্ত্র মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ নয়া দিগন্ত, যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা টিএসসির জিনিয়াকে অপহরণ : কারাগারে লোপা ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় দু’জন রিমান্ডে বিচারকের অপসারণ দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, এজলাসে তালা SHARES Matched Content আইন আদালত বিষয়: আজহারমৃত্যু পরোয়ানা শুনলেনযুদ্ধাপরাধী