৭ দুর্নীতিবাজকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে দুদকের চিঠি

প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : সাত দুর্নীতিবাজকে দেশে ফেরত আনতে ইন্টারপোলে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ কথা জানান।

তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি তালিকা আছে দুদকে। এর মধ্যে থেকে সাত জনকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে নামগুলো বলছি না। কারণ নাম বললে তারা স্থান পরিবর্তন করে।

যাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে, তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের কাছে মুখ্য হলো অপরাধ। অপরাধীর পরিচয় কী, তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। কে প্রভাবশালী আর কে প্রভাবশালী নয়, তা দেখার কথা আমাদের না। আমরা দেখিও না। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করছি না।

সিঙ্গাপুরে দুদকের একটি প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা ছিল। চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েও করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় সেই টিম সিঙ্গাপুরে যেতে পারেনি বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান। বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ রাখাসহ নানা অভিযোগ নিয়ে আটক পাপিয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, পাপিয়া কে— সেটি আমাদের দেখার বিষয় না। তিনি তিন কোটি টাকা কোথায় পেলেন, আমরা সেটা দেখব। তিনি তার টাকার উৎস দেখাতে না পারলে মামলা হবেই। অনুসন্ধান চলছে। সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক হয়েছিলেন যুবলীগ নেতা (পরে বহিষ্কৃত) জি কে শামীম। ওই সময় যে অভিযান চলছিল, তা ঝিমিয়ে পড়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জি কে শামীম, ক্যাসিনো কাণ্ড, বালিশ কাণ্ড কিছুই থেমে নেই। ঝিমিয়ে পড়ার সুযোগ কোথায়? আমি এটুকু বলতে চাই, দুদকের যা করার দুদক তা করবে। কোনো কিছুই বন্ধ হয়নি, হবেও না।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এই ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভ করতে চাইলে দুদক কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেউ বাজার ম্যানুপুলেশন করলে তার তাই আমাদের নয়। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, মোবাইল কোর্ট চলছে। তারপরও কেউ পণ্যের দাম অবৈধভাবে বাড়িয়ে, জনগণকে জিম্মি করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করলে তখন আমরা ব্যবস্থা নেব।