বাউফলে মাস্ক কেনার হিড়িক

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২০
বাউফলে মাস্ক কেনার হিড়িক

নিজস্ব প্রতিবেদক ; করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পটুয়াখালীর বাউফলে মাস্ক কেনার হিড়িক পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিপনী বিতানগুলোতে দেদারসে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর বাউফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই মাস্ক কেনার ধুম পড়ে যায়। মাস্কের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুটপাতে অসংখ্য দোকান গড়ে ওঠে। গত দুই দিনে দোকান গুলোতে মাস্ক ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা গেছে।

বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বর্তমানে বাউফলে দিনে গরম রাতে শীত বিরাজ করছে। এমন আবহাওয়ায় ঠান্ডা জনিত হাঁচি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয়ে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে এক আতংক বিরাজ করছে। সোমবার বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আব্দুল জলিল নামের এক ব্যক্তি বলেন, এখানে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার কোন কীট নেই। আমরা যারা ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস আতংক বিরাজ করছে।

বিষয়টি নিয়ে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারনে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তবে হাঁচি, কাশি হলেই যে করোনা ভাইরাস তা বলা যাবে না। তিনি বলেন, শিগগিরই করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার প্রয়োজনীয় উপাদান আমরা পেয়ে যাব। আতংকিত না হয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক ।

এদিকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২টি কেবিনে ৪টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোন সময় রোগী এলে ওই কেবিনে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। এছাড়াও বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ডরমেটরী করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করার কাজ চলছে। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, আমরা সাধারণ ইউনিটের কেবিনে কোন ধরনের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেব না। ২/১দিনের মধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডরমেটরীতে পৃথক ইউনিট প্রস্তুত করা হবে।