গৌরীপুরে ৯৯৯ এ ফোন করে নিজেই গ্রেফতার হলো কথিত জ্বিনের বাদশাহ

প্রকাশিত: ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০

কমল সরকার,গৌরীপুর : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শুক্রবার রাতে কথিত জ্বিনের বাদশার সহযোগীকে গৌরীপুর থানার পুলিশ শাহগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেফতার করে। মামলা সুত্রে জানা গেছে,হালুয়াঘাট উপজেলার আতুয়াজঙ্গল গ্রামের মৃত মফিজ মড়লের পুত্র মোঃ সুলতান (৪০) অচিন্তপুর ইউনিয়নের গাগলা গ্রামে ইট খলায় শ্রমিক হিসাবে ২ বছর যাবত কাজ করে। শাহগঞ্জ বাজারে মাংস ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের সাথে মাংস ক্রেতা হিসাবে তার পরিচয় হয়।

সে সুবাদে সুলতান মতিউরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। (২৫ ফেব্রুয়ারী)মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুলতান ও কথিত জ্বিনের বাদশা ধোবাউড়া উপজেলার ধোবাউড়া বাজারের মোঃ কাশেম মাংস ব্যবসায়ী মতিউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী নাছিমাসহ মেয়ে মিতু ও ঋতুকে বলে আপনাদের বাড়িতে ১০টি দুষ্ট জ্বিন আছে। এগুলো আপনাদের ভিষন ক্ষতি করবে। গর্ভবতী মেয়ে মিতুর পেটের সন্তান নষ্ট হবে যদি আমাদের কথামত কাজ না করেন। আমার কাছে জ্বিনের বাদশা কাশেম আছে। তাকে দিয়ে দুষ্ট জ্বিন তাড়াতে হবে।

তখন সুলতান বলে আপনাদের কাছে যে স্বর্ণঅলংকার আছে সে গুলো খুলে আমাদের সামনে রাখুন। মা-মেয়েরা ভয়ে সব কিছু খুলে সুলতান ও কথিত জ্বিনের বাদশার সামেনে রাখে। সে সময় প্রতারক সুলতান ও কথিত জ্বিনের বাদশা মোঃ কশেম সবাইকে পানি পড়া খাওয়ায়। মা-মেয়ে যখন অবচেতন অবস্থায় তখন প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণঅলংকার চেইন, কানের দুল নিয়ে তারা চম্পট দেয়। যার মূল্য ২,৪০,০০০ টাকা ।

ওইদিন থেকে প্রতারকদের অনেক খুজাখুজি করে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মতিউর রহমান। (২৯ ফেব্রুয়ারী) শুক্রবার রাতে সুলতান ও কাশেমকে শাহগঞ্জ বাজারে ঘুরাফিরা করতে দেখে মতিউর রহমান তাকে আটক করে। তার সঙ্গে থাকা অপর প্রতারক মফিজ পালিয়ে যায়। এদিকে সুলতান নিজেই মতিউরকে ফাসাঁনোর জন্য ৯৯৯ ফোন করে। পরে গৌরীপুর থানায় পুলিশ প্রতারক সুলতানকে আটক করে রাতে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারী শনিবার মতিউর রহমান বাদি হয়ে ২ জনকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছ। মামলা নং-৫৮/১১৪। প্রতারক মতিউর রহমানকে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।