বুকের উপর শিক্ষকের লাথি, জ্ঞান হারালো ছাত্রী

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০

আব্দুর রহিম, জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি : সরকারের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শ্রেণিকক্ষেই শাহিনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীকে লাথি মেরে অজ্ঞান করে ফেললেন শিক্ষক। এমন ন্যাককার জনক ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জ্ঞান হারানো আহত শিক্ষার্থী শাহিনা আক্তার তাইন্দংয়ের মুসলিমপাড়ার নোয়াব আলী সর্দারের মেয়ে। সে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা যায়, বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা, চতুর্থ পিরিয়ড চলাকালীন সময় দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে কোন কারণ ছাড়াই টেবিলের উপর উঠে শাহিনা আকতারের বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এসময় শ্রেনিকক্ষেই ঐ শিক্ষার্থী জ্ঞান হারায়। এসময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরে ফেলবো।

এসময় তার সহপাটি শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণি কক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে। এবং ওই শিক্ষকের হাত থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাইন্দং বাজারে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আক্রান্ত শিক্ষার্থী তার বাড়িতে ফিরে গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর নবীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্খিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।