শ্বাশুড়ির বিষপানে আত্মহত্যা, পুত্রবধু সংকটাপন্ন

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষপানে চিকিৎসাধীন প্রমিলা মন্ডল (৫০) বুধবার ভোর রাত চারটার দিকে মারা গেছেন।

এই খবর শোনামাত্র দিশেহারা হয়ে প্রমিলার পুত্রবধু সুইটি মন্ডল (২০) শ্বাশুড়ির রাখা বিষের পাত্রে ভুলে পানি পান করে বিপদে পড়েছেন।

পুত্রবধুকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় বুধবার সকাল ছয়টার দিকে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
শ্বাশুড়ি প্রমিলা ও পুত্রবধু সুইটির পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রমিলার স্বামী গৌরাঙ্গ মন্ডল বার্ধক্যজনিত কারণে সম্প্রতি মারা যায়।

এরপর থেকে প্রমিলা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে প্রমিলা বাড়িতে থাকা কৃষি-বিষ কুরাটার পানিতে গুলিয়ে খায়। বিষের যন্ত্রণা-চিৎকারে বাড়ির লোকেরা সজাগ হয়। দ্রুত তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

হাসপাতালের চিকিৎসক প্রমিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর শোনামাত্র বাড়িতে থাকা প্রমিলার পুত্রবধু সুইটি মন্ডল দিশেহারা হয়ে পড়ে। সে শ্বাশুড়ির রাখা বিষ মাখা গ্লাসে ভুলে পানি পান করে। তাদের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার পূর্ব সীমান্তের পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সামন্তগাতী গ্রামে। পুত্রবধু সুইটির স্বামীর নাম মিঠুন মন্ডল।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান মিলন জানান, সুইটির শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসা চলছে। এর আগে তার শ্বাশুড়ি বিষপানে মারা গেছে।

চিতলমারী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, বিষপানে শ্বাশুড়ির আত্মহত্যা ও পুত্রবধুর বিষপানের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। চিতলমারী হাসপাতালে থাকা প্রমিলা মন্ডলের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। অপরদিকে নাজিরপুর থানা পুলিশ মৃতের বাড়ী পরিদর্শন করেছেন।