হালুয়াঘাট পৌরশহরকে আলোকিত করেছেন মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০

জোটন চন্দ্র ঘোষ,হালুয়াঘাট : হালুয়াঘাট পৌরসভা ২০১৪ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর স্থাপিত হওয়ার শুারু থেকেই চলছিল প্রশাসক কর্তৃক। যার ফলে পৌরবাসী পাচ্ছিলনা তাদের নুন্যতম সেবা। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল পৌরবাসী।
পৌরবাসীর জনদুর্ভোগ ছিল চরম মাত্রায়। তা পাল্টে যায় নবনির্বাচিত মেয়ররের দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই। স্বল্প সময়ের মধ্যেই নবনির্বাচিত পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সেবায় সন্তুষ্ট নাগরিক সমাজ। পৌর নাগরিকদের মতে উক্ত পৌরসভা তৃতীয় শ্রেণির হলেও সেবা মিলছে প্রথম শ্রেণির মতই।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরে রাস্তাঘাটের সংস্কার, ল্যাম্পপোস্টের বাতি, ড্রেন সংস্কারসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দিনরাত মেয়রের উপস্থিতিতে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলরগণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান সড়কটিসহ ছোট বড় প্রায় ৫০টিঁ রাস্তার সংস্কার করছেন।

গত ২০১৮ সনের ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম ভূঞা। গত বছরের ৮মে বিজয়ী পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান তৎকালীন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন। স্বল্প সময়ে ঝড়ের বেগে কাজ করে যাচ্ছেন পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা। পৌর সভার জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট এখন আর খুব একটা চোখে পড়েনা। রাতে ল্যাম্প পোস্টগুলোতে জ্বলছে আলো। প্রায় সকল এলাকা চলে এসেছে বাঁতির আলোতে। সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা থাকায় পৌর এলাকায় এখন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। ধুলো বালিতে অতিষ্ট পৌরবাসী এখন ধুলো বালি মুক্ত।

মেয়রের যুগোপযোগী পদক্ষেপে প্রতিদিন রাস্তায় পানিবাহিত গাড়ি দিয়ে পানি ছিটিয়ে শহরকে রাখছেন ধুলো মুক্ত। এখন পর্যন্ত পৌরবাসির পৌর কর সুনির্দিষ্টভাবে দেওয়া শুরু না করলেও ঠিকই মিলছে পৌর সেবা। এ জন্য পৌর মেয়র ও তার সহকর্মীদের একাগ্রতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার প্রশংসাও করছেন পৌরবাসী। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা আজ পূরণ হয়েছে এমন ধারণাই পৌর নাগরিকদের।

পৌর নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১৫ হাজার ভোটারের বসবাসকারী এই শহরের বেশিরভাগ রাস্তার ইট ও কার্পেটিং উঠে গিয়েছিল। বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছিল । বছরের পর বছর এসব রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছে। রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যায় হালুয়াঘাট পৌর শহর। নির্দিষ্ট স্থানে ডাষ্টবিন থাকায় পৌরবাসী যেখানে সেখানে ময়লা ফেলছেনা। সম্প্রতি ড্রেনের ময়লা উঠিয়ে নেওয়া হয়। ড্রেন উপচে এখন আর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে না। সময়মত পরিস্কার থাকার কারনে মশার যন্ত্রনা অনেক কম। পৌরসভার উন্নয়নের কারণ হিসেবে মেয়রের আন্তরিকতা ও তার স্বদিচ্ছাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে পৌরবাসী। পৌরবাসিদের মতে এটি তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা হলেও আমরা প্রথম শ্রেণির সেবা পাচ্ছি বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট পৌরসভার প্রথম মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা বলেন, নির্বাচিত কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে কাজ করার ফলেই তা সম্ভব হচ্ছে। পৌর শহরে রাস্তাঘাটের সংস্কার, ল্যাম্পপোস্টের বাতি, ড্রেন সংস্কারসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হালুয়াঘাট পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ্য স্থানে ৩০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করছেন। যা থেকে চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ১৪ জন নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীর দ্বারা রাস্তাঘাট এবং বাড়ির সামনের ময়লা ও বর্জ্য পরিস্কার করানো হচ্ছে ফলে অত্র পৌরসভায় নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে কোথাও কোন ময়লা আবর্জনার স্তূপ নেই। জনগণের সার্বিক সহযোগিতার করণেই এমন উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান।