তাহিরপুরে বালির উপর বাঁধ: শঙ্কায় কৃষক !

প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের অক্ষত একটি বাধেঁ বালির উপরেই মাটি ফেলে বাধঁ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন পিআইসি কমিটি।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন,এ বাধঁটিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড অপ্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। সেই সাথে বালির উপরে সামান্য পরিমান মাটি ফেলে বাধঁ নির্মাণ কাজ শুরু করায় হাওরের ফসল রক্ষায় এ বাধঁটি হবে ঝুকিপুর্ন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,গত বছর পাহাড়ি ঢলের বন্যায় তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওর উপ প্রকল্পের বর্তমান ৬৫ নং পিআইসির হাওর রক্ষা বাঁধটি তলিয়ে গিয়েছিল।সেই সময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে গ্রামের মানুষজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে বালু ভর্তি বস্তা দিয়ে বাঁধ টি উঁচু করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরে বাঁধে দেয়া বালুর উপরেই এ বছর সামান্য পরিমান মাটি ফেলে বাঁধের কাজ শুরু করেছেন মাটিয়ান হাওরের ৬৫ নং উপ প্রকল্পের পিআইসি কমিটি।

উল্লেখ্য,চলতি অর্থ বছরে তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ মেরামত ও সংস্কার প্রকল্পের এই ৬৫ নং বাঁধে ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা প্রতিবেদকে জানান,মাটিয়ান হাওরের এ বাঁধটিপ্রায় ৭০ পার্সেন্ট অক্ষত ছিল।তুবুও পানি উন্নয়ন বোর্ড এ বছরেও প্রায় সমপরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।

অপরদিকে বাঁধের উপর থাকা বালি না সরিয়ে সামান্য পরিমান মাটি কেটে বাধঁ নির্মাণ কাজ শুরু করায় এ বাঁধটি হাওরের ফসল রক্ষায় ঝুঁকির মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকগন। বাধেঁর পার্শ্ববর্তী কৃষক নুর ইসলাম বলেন,এ বাধঁটি মাটিয়ান হাওরের ফসল রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। কিন্তু বালির উপরে মাটি ফেলে বাধঁ নির্মাণ কাজ হওয়ায় সামান্য পানিতেই বাধঁটি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রেজাউল ইসলাম নামে আরেক কৃষক বলেন,এই বাধেঁ যে পরিমান অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেই পরিমান টাকা খরচ হবে না। কারন গতবারের কাজেই প্রায় ৭০ পার্সেন্ট বাধঁ অক্ষত ছিল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি বলেন,বালির উপরে বাঁধ নির্মাণ কাজ করা যাবে না। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।