১ কোটি কিলোওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহের মাইলফলক

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি : বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভ রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের চুকোতকা অঞ্চলের চাউনি-বিলবিনো হাব নেটওয়ার্কে ইতোমধ্যে ১ কোটি কিলোওয়াট-আওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।

ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৯ সালের ১৯ডিসেম্বর স্থানীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। অদ্যবধি চাউনি-বিলবিনো হাবের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার এক পঞ্চমাংশ পূরণ করছে ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এবং ভবিষ্যতে চুকোতকা অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার পুরোটাই পূরণ করবে কেন্দ্রটি।

বিখ্যাত “পাওয়ার” ম্যাগাজিন ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গ্রিডে যুক্ত হওয়াকে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিশ্বের বিজ্ঞানী, পরমাণু বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবাদীরাও এই প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

লল্ডনভিত্তিক এনজিও এনার্জি ফর হিউমিনিটির প্রধান ক্রিস্টি গোগান বলেন, “অত্যন্ত বিরূপ জলবায়ুর দূর্গম অঞ্চল, যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার টেকসই নয় এবং জীবাশ্ম জ্বালানীর ওপর পুরোপুরি নির্ভর করাও সম্ভব নয়, এমন অবস্থায় ক্ষুদ্র এবং ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই একমাত্র সমাধান। আর্কটিকসহ অন্যান্য অঞ্চলকে কার্বনমূক্ত করার ক্ষেত্রে একাডেমিক লামানোসভ প্রথম পদক্ষেপ”।

রুশ নির্মীত ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর ভিত্তিক ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভে দু’টি কেএলটি-৪০সি রিয়্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে, যার প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগা-ওয়াট। ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৪৪ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ মিটার প্রশস্থ।

ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টরভিত্তিক ৩০০ মেগা-ওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলো জলে বা স্থলে কাজ করতে সক্ষম এবং রি-ফুয়েলিং ছাড়াই অনবরত ৩-৫ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।