ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: পোস্টিং আছে ডাক্তার নেই!

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

কামরুল হাসান ধোবাউড়া : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা সমস্যা বিরাজ করছে। ফলে সাধারন রোগীরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১৩ জন ডাক্তার পোস্টিং থাকলেও কর্মস্থলে ৩ থেকে ৪ জন ডাক্তার থাকতে দেখা যায়। এদের মাঝেও অনেকেই সামনের প্রাইভেট ক্লিনিক ও প্যাথলজিতে অফিস টাইমে রোগী দেখতে দেখা যায়।

ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অপ্রয়োজনে রোগীকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরিক্ষা দিয়ে হয়রানী করে। এতে, গরীব অসহায় রোগীরা বুকভড়া আশা নিয়ে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য এসে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে ফিরে যাচ্ছে। জানা যায়,ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রসূতি বিভাগ নেই,নেই কোন সুরক্ষিত অপারেশন থিয়েটার, সিজার করানো তো দূরের কথা, প্রাথমিক চিকিৎসা পাচ্ছে না প্রসূতি মহিলারা । অন্যদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসুতি রোগীসহ সামান্ন পেট ব্যথার রোগী আসলেও কর্তব্যরত ডাক্তার বিভিন্ন অজুহাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার করে ।

এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে রক্তসহ নানা পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য ল্যাব থাকলেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বহিরাগত ল্যাবে পরিক্ষা নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। ল্যাবের দায়িত্বে থাকা তানভির আহম্মেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানায়, পরিক্ষার জন্য কেউ আসে না, আসলে তিনি পরিক্ষা করে দেন। এছাড়া এক্স-রে মেশিনটি ধীর্ঘদিন যাবৎ বিকল থাকলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে না।

টেকনেশিয়ান মোঃ নাছির উদ্দিন প্রায় ২ বছর কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে বেতন উত্তোলন করছেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানায় ২ বছর যাবৎ এক্সরে মেশিন নষ্ট আছে, তিনি অফিস করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হাসান শাহিন জানান, তিনি নতুন এসে দেখেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে স্টোর কিপার ১ জন, প্যাথলজি সহকারী ১,পরিচন্নতা কর্মী ৫, ফার্মাসিস্ট ২, ওয়ার্ড বয় ২, অফিস সহকারী ৩, আয়া ১,বাগান পরিচন্নতাকর্মীসহ অনেক পদ শূন্য। তিনি আরও জানান, লোকবলের অভাবে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না, দ্রুত সমস্যা সমাধানে তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।