টেকনাফে ২১ ইয়াবা ও হুন্ডি কারবারীর আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : বহু প্রতীক্ষার শেষে অবশেষে কক্সবাজারের টেকনাফে ২১ ইয়াবা ও হুন্ডি কারবারী দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণকারীদের ইয়াবা ও অস্ত্রসহ পৃথক দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে টেকনাফ সরকারী কলেজ মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম’র হাতে ২১ হাজার পিস ইয়াবা ও ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক- হোক সে প্রশানের লোক বা কমিউনিটি পুলিশ নেতা বা সদস্য, মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। মাদক নির্মূলে পুলিশ বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। তবে কোন নিরীহ লোক যেন কোন ভাবেই হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে সতর্ক থাকাও নির্দেশ দেন।

জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাদুস হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মো. ইসলাম, টেকনাফ আল জামেয়ার পরিচালক মুফতি কিফায়াত উল্লাহ শফিকসহ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম উরফে কালা সওদাগর, একই গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল আমিন আবুল, সুলতান আহমদের ছেলে বশির আহমদ, ফজল আহমদের ছেলে রিদুয়ান, ফজল আহমদের ছেলে আব্দু রাজ্জাক, সৈয়দ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল উরফে হাজী রাসেল, রুহুল আমিনের ছেলে ফজল করিম, সাবরাং ইউনিয়নের লেজির পাড়া এলাকার মকতুল হোসেনের ছেলে মো. ইদ্রিস, সিকদার পাড়ার ছৈয়দুর রহমানের ছেলে আব্দুল গফুর, একই গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মো. হোসেন উরফে কালু, টেকনাফ পৌর সভার লামার বাজার এলাকার বার্মাইয়া জলিলের ছেলে মো. ইসমাইল, সাবরাং খয়রাতী পাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে মো. সাদ্দাম, সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী জহির আহমদের ছেলে মো. তৈয়ুব উরফে মধু তৈয়ুব, হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার ফকির আহমদের ছেলে নূর মোহাম্মদ, একই ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার নুর কবিরের ছেলে ইমাম হোসেন, হোয়াইক্যং উত্তর পাড়ার মৃত আব্দু শুকুরের ছেলে ফরিদ আলম, কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম লার পাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেন সওদাগরের ছেলে ইমাম হোসেন, সদর ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে সাহাদাৎ হোসাইন, পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ার মো. কামালের ছেলে আব্দুল নূর, সদর ইউনিয়নের মাঠ পাড়া এলাকার ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহেদ উল্লাহ, হ্নীলা ইউনিয়নের উলু চামুরী কোনা পাড়ার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান।

আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বাদী হয়ে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ দুটি মামলা প্রস্তুতির প্রক্রিয়া চলছে। এই দুই মামলায় আটক দেখিয়ে সবাইকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের দায়িত্বশীল। সূত্র।