ভালুকায় মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনি বলরাম বর্মন

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০

ভালুকা (ময়মনসিংহ) থেকে তমাল কান্তি সরকার : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আংগারগাড়া আখালিয়া গ্রামের বলরাম বর্মণ ১৯৭১ সালে ভারতের মেঘালয়ের কালাইপাড়া টেনিং সেন্টারে টেনিং নিয়ে মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনি ।

১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী তাদের বাড় ঘর পুড়িয়ে দেয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে আবেদন ডিজি নং-১২৬০৮৫ তাং-২৬/১২/১৩ইং করেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি বলরাম বর্মণ ।

গত ০৭/০১/১৭ইং তারিখে বলরাম বর্মণ বার্ধক্যজনিত কারনে তিনি মারা যান। বর্তমানে তার স্ত্রী দুই ছেলে তিন মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার স্ত্রী সুমিত্রা রাণী বর্মনী স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য প্রশাসনের ধারেধারে গুড়ছেন। মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।

তাদের বাড়ীর পাশে পশুরাম মেম্বারের বাড়ীতে ১৯৭১ সালে ইপি আর থেকে অস্ত্র এনে গর্ত করে লুকিয়ে রাখে। পরে ঐ অস্ত্র কাদের বাহিনীর প্রধান আ: কাদের সিদ্দিকি ৪ গরুর গাড়ী ও আফসার বাহিনীর প্রধান মেজর আফসার উদ্দিন আহাম্মেদ ৩ গাড়ী অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রাম মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি হিসাবে পরিচিত ছিল।