কলসিন্দুর-তারাকান্দা সড়কের বেহাল দশা, এক দশকেও কাটেনি দূর্ভোগ

প্রকাশিত: ২:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০

ধোবাউড়া থেকে কামরুল হাসান : কলসিন্দুর বলতেই দেশের মানুষের চোখে ভেসে উঠে কীর্তিমান নারী ফুটবলারদের মুখ । একটি বিদ্যালয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল দলে খেলার গৌরব অর্জন করেছে কলসিন্দুরের ১২ জন কিশোরী।

এরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলে চ্যাম্পিয়ান হয়ে দেশের মুখ উজ্জল করেছে। এদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ গর্ববোধ করে। এই মেয়েদের দাবীতে কলসিন্দুর এলাকায় অল্প সময়ে আট শতাধিক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি ফুটবল কন্যাদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলসিন্দুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণ করা হয়েছে। কিন্তু এক দশকেও কলসিন্দুর ধোবাউড়া ভায়া তারাকান্দা সড়কের বেহাল দশার কারনে দুর্ভোগ কাটেনি ফুটবল কন্যা ও উপজেলার ভাগ্যহত জনগনের ।

তারাকান্দা থেকে ধোবাউড়া উপজেলার ৩১ কিলোমিটার সড়কের মাঝে ১৫ কিলোমিটার সড়ক ও ধোবাউড়া – কলসিন্দুর ৬ কিলোমিটারের মাঝে ৪ কিলোমিটার মোট ১৯ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ খানা খন্দে ভরা।

এল.জি.ই.ডি কর্তৃক নির্মাণাধীন এ সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে সুসং দুর্গাপুর, ধোবাউড়া,ফুলপুর উপজেলার যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সাথে বেড়েছে পরিবহন ভাড়া। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রসুতি মা-সহ সাধারণ রোগীরা।
কলসিন্দুর-গোয়াতলা সড়কের মেরামতের কাজ বছরে এক দুই বার শুরু হলেও ঠিকাদার ও এল.জি,ই.ডি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে কাজটি বন্ধ রয়েছে। ধোবাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনূর ফেরদৌস জানান, কলসিন্দুর থেকে গোয়াতলা পর্যন্ত সড়কের টেন্ডার হয়েছে এবং গোয়াতলা থেকে তারাকান্দা সড়কের সুতারপাড়া থেকে কেন্দুয়া পর্যন্ত সড়ক মেরামতের কাজ টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে।

কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ফুটবল কন্যাদের টিম লিডার মালা রানী সরকার বলেন, সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে সড়কের সিলকোট কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়।

তিনি আরও বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এসব গর্তে হাঁটু পানি জমে যাওযায় এ সড়ক দিয়ে কলসিন্দুরের ফুটবল কন্যাসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের জীবন বাজি রেখে চলাচল করতে হয়। তিনি সড়কটি দ্রত সংস্কারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু’দৃষ্টি কামনা করেছেন।