খুলনায় চিকিৎসকের বদলি ঠেকাতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক ; খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক আরএমও ডা. মিজানুর রহমানের বদলি আদেশ স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ কামাল হোসেন ও আরএমও মিজানুর রহমানের মধ্যকার চলমান স্নায়ু দ্বন্দ্ব ও হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে টিএইচও কর্তৃক দুর্ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত দল গঠন করেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) এমপি নারায়ন চন্দ্র চন্দ

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও শেখ কামাল হোসেন এবং সাবেক আরএমও মো. মিজানুর রহমানের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। কামাল হোসেনের সাথে হাসপাতালের অন্যান্য ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদেরও সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

এর প্রেক্ষিতে হাসপাতালের ৩৭ জন কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বরাবর টিএইচও শেখ কামাল হোসেনের অধিনে চাকরি করতে অনাস্থা প্রকাশ করে লিখিত আবেদন করেন। এরপরই তদন্ত দল গঠন করা হয় ডা. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি ডা. মিজানুর রহমানের বদলি আদেশ আসলে শত শত মানুষ তার কক্ষের সামনে ভিড় করেন এবং বদলি আদেশ স্থগিতের জন্য শনিবার সকালে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয়দের পাশাপাশি অভয়নগর উপজেলা থেকেও বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। এসময় ডা. মিজানুর রহমানের বদলি আদেশ স্থগিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন স্থানীয়রা।

পরে খুলনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র চন্দ হাসপাতালে এসে মানববন্ধনকারীদের সাথে কথা বলেন এবং শেখ কামাল হোসেনের সাথে আরএমও মিজানুর রহমানের দ্বন্দ্ব এবং কর্মচারীদের সাথে টিএইচও কর্তৃক অশোভনীয় আচরনের অভিযোগ আমলে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করে তাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাথি খাতুন (৩১) বলেন, ‘আরএমও স্যার একজন ভালো মানুষ ও ভালো ডাক্তার। তার কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে তার ব্যবহারে অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়।’

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মোড়ল (৪৫) বলেন, ‘ডাক্তার মিজানুর রহমান ফুলতলা থেকে চলে গেলে অনেক ক্ষতি হবে। এমন ভালো চিকিৎসক পাওয়া কঠিন।’