স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ফেসবুক লাইভে উল্লাস গ্রেপ্তার-৪

প্রকাশিত: ৮:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিনের কথা বলে ডেকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর ফেসবুকে লাইভে এসে উল্লাস করা চারজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার পুলিশ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবদেন করলে আদালত মঙ্গলবার শুনানির কথা জানিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী ও গাজীপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালতে তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আগামী মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে জানিয়ে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

গত ১৫ জানুয়ারি রাতে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় চার বন্ধু জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এনার্জি ড্রিংকের সাথে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে এক কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। সে দৃশ্য তারা ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড দেয়। পরে লাইভে এসে অভিযুক্তরা হাসতে হাসতে বলতে থাকেন, ‘হ্যালো ফ্রেন্ডস, আগামীকাল হয়তো জেলে থাকব, কারও সাথে আর দেখা হবে না।’

বিষয়টি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গেলে নির্যাতিত ওই ছাত্রী পরিবারকে জানায়। পরেরদিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার র‌্যাব সদস্যরা গাজীপুরের রাজবাড়ি ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে চার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।

তারা হলো-কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০) এবং ধর্ষণের পরিকল্পনাকারী ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬)। এছাড়া এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর একজন সহযোগী নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।

নির্যাতিত ওই ছাত্রীর মা বলেন, তাদের এখনও আতঙ্ক কাটেনি। লোক লজ্জা আর নানা ভীতির কারণে তার মেয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না। এছাড়াও মামলা দায়েরের পর আসামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে তাদের। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান ভুক্তোভোগী ওই পরিবার। র‌্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে চারজন। তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।