পুলিশ পরিচয়ে ইয়াবা ব্যবসা, পুলিশের হাতেই আটক!

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাছে ইয়াবা ব্যবসা করে বেরাতো সে। আর তার পরিচয় তিনি পুলিশের একজন কনস্টেবল। পুলিশের পরিচয়কে বড় করে সামনে এনে দীর্ঘদিন ইয়াবা বিক্রি করতো তিনি। আর তাকে এ কাজে পূর্ণ সহযোগীতার জন্য তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি টিমও সে তৈরি করেছিল। যাদের কাজ ইয়াবা বিক্রি করা। কিন্তু তার আর শেষ রক্ষা হলো না।

অবশেষে শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হকের ফাঁদে ২৫ পিস ইয়াবাসহ আটক হয়। ওই কনস্টেবল সম্পর্কে এভাবেই বিবরণ দেন উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার। আটককৃত ওই কনস্টেবলের নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে সৈকত। তিনি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছৈলাদী গ্রামের এসএম মনির উদ্দিন শেখের ছেলে। সে নরসিংদী পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিল। তবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল দীর্ঘদিন।

ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক মাস্টার জানান, সৈকত পুলিশের পরিচয়ে স্থানীয়ভাবে ইয়াবা ব্যবসা করতো। সে পুলিশে চাকুরী করলেও দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল। সৈকত শুধু নিজে নয় তার নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে গড়ে তুলেছিল ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের একটি বড় চক্র। যে চক্রের মাধ্যমে সে সহজেই এ মাদক কেনা-বেচা করতো। তবে সাধারণ মানুষ তাকে কিছুই বলতে পারতো না। কারণ সে পুলিশে চাকরী করতো। তার ব্যাপারে আমরা থানায় অবহিত করেছিলাম। এ কারণেই তার প্রতি থানা পুলিশের নজরদারী ছিল। কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ীর পাশের একটি কালভার্ডে বসা ছিল কনস্টেবল সৈকত।

এ সময় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান উদ্দিন খান তাকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে। এ সময় সে পালানোর চেষ্ঠা করে পুলিশের সাথে দস্তাদস্তি করে। পরে তার দেহ তল্লাসী করে ২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা (নং ২৫) দায়েরের পর ওই মামলায় তাকে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।