সরকারের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান করেছে : প্রধানমন্ত্রী দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় তাঁর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা দেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান করেছে। তিনি জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর লক্ষ্যে সরকারের প্রয়াসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা আজ বিকেলে এখানে দলের কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটি এবং উপদেষ্টা কাউন্সিলের যৌথ সভায় বক্তৃতাকালে বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভের পর থেকে একটানা তিন মেয়াদের জন্য সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের ধারাবাহিকতার ফলে দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। তিনি বলেন, দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়তে পারবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল এবং পল্লী এলাকায় বসবাসকারী জনগণ যাতে আমাদের সকল অর্জনের সুফল পায় সে লক্ষ্যে তাঁর সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা। আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি এবং এই কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধি হার অর্জন করেছি এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা ভাল অবস্থানে রয়েছি। আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখবো। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় পযার্য়ে মুজিব বর্ষ উদযাপনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন করবে। আমরা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পযর্ন্ত মুিজব বর্ষ উদযাপন করবো এবং আমরা ইতোমধ্যেই ক্ষণগণনা শুরু করেছি। আমরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো। তিনি আরও বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সকলের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।’ ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে তাঁর নাম একেবারে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু এখন আর কেউ তাঁর নাম মুছতে পারবেনা, কারণ তিনি সংগ্রাম করেছিলেন এবং সারাজীবন দেশের মানুষের জন্য কষ্ট সহ্য করেছিলেন।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন তখন ৮২ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করত। তিনি বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র্য হারকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং তিনিও এ লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে আমাদের দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পরে বাংলাদেশ সেই আদর্শ ও চেতনা থেকে বিচ্যুত হয়েছিল।’ দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশ আবারও উন্নয়নের দিকে যাত্রা শুরু করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে যেহেতু আমরা জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করছি। এরআগে, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁরা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজ অপরাহ্নে জাতির পিতার সমাধি সৌধে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রথমে জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি সম্মান জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সমাধি সৌধের বেদিতে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে অনুষ্ঠিত একটি মিলাদেও তাঁরা অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতি কামনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং বিশেষ সহকারীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এরআগে, সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বঙ্গবঙ্গুর সমাধিসৌধে যান এবং সেখানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং ফাতেহা পাঠ করেন। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি পুন:নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। গত ২০ এবং ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা পর পর ৯ম বারের মত আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের টানা দ্বিতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। (বাসস) Share this:FacebookX Related posts: দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী: প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে ঘিরেই আমার সব কার্যক্রম-প্রধানমন্ত্রী সরকারি শিল্প আলোর মুখ দেখে না : প্রধানমন্ত্রী বন্দর-জাহাজ নির্মাণ খাতে ইউএই’র বিনিয়োগ কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী তিন দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী ইসমত আরা’র বড় গুণ ছিল সততা ও দেশপ্রেম : প্রধানমন্ত্রী আমরা জনপ্রশাসন নীতিতে প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী করোনাকে সঙ্গী করেই জীবিকার জন্য কাজ চালু করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখুন : প্রধানমন্ত্রী ভাদ্র মাসের বন্যার বিষয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী করোনাকালীন নির্দেশনা মানার সময় হয়েছে আবার : প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন নিয়ে যাব : প্রধানমন্ত্রী SHARES Matched Content জাতীয় বিষয়: দৃশ্যমান করেছেপ্রধানমন্ত্রীবাংলাদেশের অগ্রগতিসরকারের ধারাবাহিকতা