৮২৩৮ জন ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত: ১১:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আট হাজার ২৩৮ জন ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এদের কাছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৬ হাজার ৯৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সেখানে পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার ৮৩৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আহসানুল ইসলাম টিটুর লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় মুস্তফা কামাল ১০৭ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত ঋণখেলাপির তালিকা জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। প্রকাশিত ওই তালিকায় উল্লেখ রয়েছে কে কত টাকা ঋণখেলাপি করেছে। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ত্রৈমাসিকের তথ্যানুযায়ী ২৫টি ব্যাংকের পরিচালক নিউ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তাদের গৃহীত ঋণের বকেয়া স্থিতির পরিমাণ ১ হাজার ৬১৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৭ হাজার টাকা। যা মোট ঋণের শূন্য দশমিক ১৬৬৬ শতাংশ। তিনি বলেন, এখানেই শেষ নয়, ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ নিজ ব্যাংক ব্যতীত অন্য ৫৫টি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। তাদের গৃহীত ঋণের উপস্থিতির পরিমাণ ১ লাখ ৭১ হাজার ৬১৬ কোটি ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। যা ব্যাংকসমূহের মোট প্রদেয় ঋণের ১১ দশমিক ২১ শতাংশ।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঋণখেলাপি আট হাজার ২৩৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, রিমেক্স ফুটওয়্যার, রূপালি কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেড, এসএ ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড, মোহাম্মদ ইলিয়াম ব্রাদার্স (পিভিটি) লিমিটেড, রাইজিং স্টিল লিমিটেড, অ্যালো কোট লিমিটেড, সামনাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড, গ্যালাক্সি স্যুটওয়্যার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং, বেনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বুলট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, বাংলা লায়ন কমিউনিকেশন লিমিটেড, রাবেয়া ভেজিটেবল ওয়েল ইন্ডান্ট্রিজ লিমিটেড ও কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড উল্লেখযোগ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত এক বছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের হার প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। মন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।