‘পাবলিক হল’ ভবনের পুরাতন উপকরণ বিক্রিতে তিনবার নিলাম, মিলছে না সাড়া দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২০ আতিয়ার রহমান,খুলনা : খুলনা মহানগরী শিববাড়ি ঐতিহ্যবাহী ‘পাবলিক হল ভবনের পুরাতন উপকরণ বিক্রির জন্য টানা তিনবার নিলামের আহ্বান করেও সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে পুনঃসিদ্ধান্তের জন্য ফাইল ছেড়েছে সংস্থাটির বৈষয়িক শাখা। জানা গেছে, নগরীতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ভেন্যু বা স্থান নিশ্চিতের জন্য ১৯৮৯ সালে শিববাড়ি মোড়ে একটি পাবলিক হল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। এটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে কয়েক ধাপে ওই হলের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ‘জিয়া হল’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। নির্মাণ শেষের কয়েক বছর যেতে না যেতেই জিয়া হলের ভবনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। দেয়ালে ফাটল, পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনাও ঘটে। এ কারণে কয়েক দফা সংস্কার হলেও শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে জিয়া হলে ১২শ’ আসনের অডিটোরিয়াম, ১৮০ আসনের সেমিনার, দু’টি বৃহৎ লাউঞ্জ, গ্রীন ও ড্রেসিং রুম, লেডিস কর্নার, নামাজের ঘর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও বাউন্ডারী ওয়াল রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় তিমা এন্টারপ্রাইজ, শীপ রাইটস এ্যান্ড কোং ও গ্যামন বাংলাদেশ। এর মধ্যে হলের পাইলিং এর কাজ করে শীপ রাইটস ও গ্যামন এন্টারপ্রাইজ এবং মূল বিল্ডিং এর কাজ করে তিমা এন্টারপ্রাইজ ও শীপ রাইটস এ্যান্ড কোং। হলটি কয়েক দফায় সংস্কার করেও নির্মাণের মাত্র ১৩ বছরের মাথায় ভবনটির ছাদ ও ওয়াল কলমে অসংখ্য ফাটল দেখা দেয় এবং ভেঙে পড়তে থাকে। পলেস্তরাও খসে পড়ে। ফলে ব্যবহার অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২০০৮ সালে ওই ভবনটি কিছু অংশ ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেব পরিগণিত হয়। কিছু জায়গা ব্যবহারে উপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে কেসিসি। বর্তমান হলটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় ভবনটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার কারণে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে কেসিসি’র কনডেমমেশন কমিটি ভবনটির আনুষ্ঠানিক পরিত্যক্ত ঘোষণা করলে উপকরণ সামগ্রী বিক্রির জন্য ৩৯ লাখ টাকা এস্টিমেট তৈরি করে কর্পোরেশন। কিন্তু গত ১৬ জুন’১৯ এরপর থেকে টানা তিনবার টেন্ডার আহ্বান করেও উপকরণ সামগ্রী বিক্রিতে সাড়া মেলেনি। কর্পোরেশনের পূর্ত শাখা জানায়, পাবলিক হল ভেঙে ওই স্থানে নতুন করে ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ২২ তলা দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। ভবনটির তিন তলায় সভা ও সেমিনার করার জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এছাড়া বাকী তলাগুলো বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার হবে। কিন্তু নিলামে বিলম্ব হওয়ায় ওই স্থানে নেয়া নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নেও করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্পোরেশন বৈষয়িক শাখার কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ভবনের পুরাতন উপকরণ বিক্রির জন্য টানা তিনবার নিলামের আহ্বান করেও সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় করণীয় বিষয়ে পুনঃসিদ্ধান্তের জন্য নতুন করে ফাইল ছাড়া হয়েছে। এখন টিইসি কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। Share this:FacebookX Related posts: বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধু গণপাঠাগার ভবনের উদ্বোধন বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে র্যালি রাণীনগর মহিলা অনার্স কলেজে ৪তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নবীন বরণ ট্রাক-আলম সাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত: আহত ৫ চিতলমারীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ভারতে পাচার হওয়া দুই কিশোরীকে বাংলাদেশের বেনাপোল দিয়ে হস্তান্তর খুলনার পুলিশ সুপার শফিউল্লাহ করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শায় মাছের ঘেরে র্যাবের অভিযান গাঁজাসহ গ্রেফতার-১ অভিমানে নবম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা জমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণ করেন সিটি মেয়র ঝিনাইদহে ৬০ হাজার করোনার ভ্যাকসিন SHARES Matched Content খুলনা বিভাগ বিষয়: ‘পাবলিক হলতিনবার নিলামপুরাতন উপকরণবিক্রিভবনমিলছে না সাড়া