উখিয়া-টেকনাফে ৪০টি পুনর্বাসিত আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তর দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৬:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক ; কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় ৪০টি নতুনভাবে পুনর্বাসিত সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র হস্তান্তর করেছে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর শীলখালী এলাকায় একটি পুনর্বাসিত আশ্রয়কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্টানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হস্তান্তর করেন সংস্থাটি। এতে ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয় এবং ডব্লিউএফপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংস্থাটি জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো জরুরি পরিস্থিতিতে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষকে রক্ষা করবে। ডব্লিউএফপি ডিসাসটার রিসিলিআন্স প্রোজেষ্ট এর প্রথম পর্যায়ের অংশ হিসেবে এগুলো কাঠামোগতভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সাড়া দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার এবং সম্প্রদায়ের সক্ষমতা জোরদার করা ডব্লিউএফপি ডিসাসটার রিসিলিআন্স প্রোজেষ্ট এর অন্যতম লক্ষ্য। ছয় মাস ব্যাপী পুনর্বাসন কাজের মাধ্যমে এই প্রোজেষ্ট কক্সবাজার জেলার স্থানীয় প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ জন মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। ডব্লিউএফপি কক্সবাজারের এমারজেন্সি কো-অরডিনেটর পিটার গেস্ট বলেছেন, বাংলাদেশের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। একারণেই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জীবন রক্ষা করতে স্থানীয় জনগনের সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমাদের বিশ^াস এই পুনর্বাসন কাজগুলো এই অঞ্চলের মানুষের জীবন টেকসই এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কাঠামগুলোকে অক্ষম-বান্ধব এবং ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় আরও দৃঢ়ভাবে সক্ষম করতে ডব্লিউএফপি ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সৌর প্যানেল স্থাপন করেছে এবং সেগুলোর প্রত্যেকটিতে পানি এবং স্যানিটেশন সুবিধা যুক্ত করেছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান আলি জানান, “আমি ডব্লিউএফপি এবং ইউএসএএইডি, ওএফডিএ এর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসা জানাই তাদের যোগ্য নেতৃত্ব এবং কক্সবাজারের আক্রান্ত স্থানীয় সমাজের প্রতি তাদের কাজের প্রতি প্রতিশ্রুতির জন্য যা একান্তভাবে প্রয়োজন। এই সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো অন্যান্য অভিযোজন অবকাঠামোগুলোর সাথে বিশেষত বৃষ্টিপাত এবং বন্যার তীব্রতার সময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের সহনশীলতা বাড়াতে অবদান রাখবে।” ইউএসএআইডি এর ইউএস ফরেন ডিসাসটার অফিসার মিস রেচেল গালাগার জানান, “বেশির ভাগ সময় এই দালানগুলো স্কুল বা মিউনিসিপাল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু যখন পরবর্তী দুর্যোগ আঘাত হানবে, এই পুনর্বাসিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র গুলোর প্রত্যেকটি প্রায় ১ হাজার মানুষকে বন্যা, ভূমিধ্বস, বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া থেকে বাঁচাতে পারবে। আমরা কক্সবাজারকে দুর্যোগের বিরুদ্ধে আরো সহনশীন করতে যা কাজ করেছি এবং ডব্লিউএফপি, স্থানীয় এনজিও, বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের স্বাবলম্বনের যে যাত্রা তার সহযোগী অংশীদারত্ব নিয়ে অনেক গর্বিত। ডব্লিউএফপি ২০২০ সালের মধ্যে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আরও ৪০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র পুনর্বাসন করার আশা করছে। Share this:FacebookX Related posts: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার পেল কক্সবাজারবাসী বর্তমান সরকার নারীদের উন্নয়নে কাজ করছে : শিক্ষামন্ত্রী ‘চসিকে সেনা উপস্থিতি থাকবে, তারা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে’ দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করোনা এখন দেশের ৬৪ জেলায়, রাঙ্গামাটিতেও শনাক্ত ৪ নোয়াখালীতে পুলিশের কোভিড অক্সিজেন ব্যাংক উদ্বোধন করোনায় চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি মৃত্যু খাগড়াছড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্মৃতি ভাস্কর্য ‘চেতনা’ পূর্ণ গতিতে চলছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ সিলেটে লন্ডন ফেরত ২৮ যাত্রী কোয়ারেন্টাইনে চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ-গোলাগুলি চট্টগ্রামের নগরপিতা রেজাউল করিম SHARES Matched Content চট্টগ্রাম বিভাগ বিষয়: আশ্রয়কেন্দ্রউখিয়া-টেকনাফপুনর্বাসিতহস্তান্তর