কেন্দুয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার সংকট নিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ

প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২০ শিক্ষা বর্ষের শুরুতেই ৯৯ শিক্ষক ও ৬ শিক্ষা কর্মকর্তার সংকট নিয়ে চলছে কেন্দুয়ার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। শিক্ষক ও তদারকি কর্মকর্তাদের সংকটের ফলে এখানকার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা থমকে দাঁড়াচ্ছে।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১শ ৮২টি । এই বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ২৯ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকের ৭০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য ৭ জন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তার পদ থাকলেও আছেন মাত্র ২ জন। এতে ৭ জনের কাজ কোন অবস্থাতেই ২ জন সামলে নিতে পারছেন না। তাছাড়া নেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। বছরের শুরুতেই দেখা দিয়েছে শিক্ষা কর্মকর্তার শূণ্যতা। ফলে ১ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অফিসের দাপ্তরিক কর্মকান্ড সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য একজন হিসাব সহকারী ও একজন অফিস সহকারী পদ দীর্ঘদিন ধরেই শূণ্য রয়েছে। ফলে জোড়া তালি দিয়ে খুব কষ্ট করে একজন অফিস সহকারীকে সব কিছু কর্মকান্ড সম্পাদন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ছাত্র অভিভাবকগণ দাবী করে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নানামুখি সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে যেসব শিক্ষক আছেন তাদের একটি অংশ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাছাড়া ২৯ প্রধান শিক্ষক ও ৭০ জন সহকারী শিক্ষকের সংকট থাকায় তাদের কর্মকান্ড অন্যরা সংকুলান করতে পারছেন না। এর ফলে ১শ ৮২টি বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর অনেকেই সুষ্ঠু পাঠ গ্রহণ কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সঠিক তদারকি ও পাঠদান কার্যক্রম না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে অমনুযোগী হয়ে ঝড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে একরকম সংকটের মধ্যেই আছেন অভিভাবকগণ। যে কারণে অনেক অভিভাবক তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কাগজে কলমে ভর্তি দেখালেও তারা তাদের সন্তানদেরকে লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য কিন্ডার গার্টেন অথবা কোচিং সেন্টারে ভর্তি করে দিচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষক, শিক্ষা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সংকট নিয়েই আমাদেরকে বছরের শুরুতেই খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সহ, ৬ জন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা ৯৯ শিক্ষকের সংকটের কারণে পাঠদান কার্যক্রম ও তদারকিতে অনেক বিঘ্ন ঘটছে। এসব পদ জরুরী ভিত্তিতে পূরণেরও দাবী জানান তিনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়ে আইনি জটিলতা চলছে। তবে আশা করছি আগামী ১ মাসের মধ্যেই কিছু সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও ৫ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার শূন্যতার পূরণের এখতিয়ার মন্ত্রনালয়ের। সেখান থেকেই বিষয়টি বিবেচনায় এনে সমাধানের পথ খোঁজবেন তাঁরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরো বলেন, এসব সংকটের বিষয় জানিয়ে মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।