কোটা সংস্কার আন্দোলনে আবু সাঈদ হত্যা, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আবু সাঈদ হত্যা ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক : রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।

বরখাস্তকৃতরা হলেন- রংপুর পুলিশ লাইনসের এএসআই আমির হোসেন ও তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

সাময়িক বরখাস্তের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তারা ‘অপেশাদারি আচরণস্বরূপ’ শটগান থেকে ফায়ার করেন। গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সেই অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দু’জনকে বরখাস্ত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৮ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ০১ আগস্টে আংশিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্তে আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় ওই দুই পুলিশ সদস্যের ‘অপেশাদারি আচরণ’ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দুই দিন পর পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন দায়িত্ব পালনের সময় এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় অপেশাদার আচরণ করেন, যা সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর ‍শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তারা কর্তব্যে অবহেলা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেছেন। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।