হালুয়াঘাটে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করায় দুই প্রভাষক বহিস্কার

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৪
হালুয়াঘাটে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করায় দুই প্রভাষক বহিস্কার

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের দুই প্রভাষক অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে বেতনের বিপরীতে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত ঋণ উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়ায় কলেজের গভর্ণিং বডি সাময়িকভাবে বহিস্কার করেন ঐ দুই প্রভাষককে।

বহিস্কৃত দুই প্রভাষককের নাম মো: আরিফুল হক ও রাশেদুর রহমান। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবিদুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযুক্ত দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পরে গত ২০ এপ্রিল গভর্ণিং বডির সভায় প্রাথমিকভাবে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় জড়িত দুইজনকেই নীতিমালা অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।

একইসাথে গভর্ণিং বডির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়। জানা যায়, কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে। সে বিষয়ে পরবর্তীতে গভর্ণিং বডির যে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান অভিযোগকারী অধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন। স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট ধারা বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মো: রুকুনুজ্জামান আকন্দ বলেন, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ধারা বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে বেতনের বিপরীতে ১১ লক্ষ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন হালুয়াঘাট টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করেন বলে তিনি পরবর্তীতে জানতে পারেন।

স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, একই প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে গেল এপ্রিল মাসের ২ তারিখে অগ্রণী ব্যাংক ধারা বাজার শাখা থেকে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন একই কলেজের প্রভাষক রাশেদুর রহমান। হালুয়াঘাট টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো: শাহাদত হোসেন বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে তারা দুইজনেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্যাংক থেকে যে ঋণ উত্তোলন করেছে তা ফৌজদারী অপরাধের সামিল। আমি তার বিচার প্রার্থী হয়েছি। আশা করি গভর্ণিং বডি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে এবং আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাষক রাশেদুর রহমান বলেন, জরুরি মুহুর্তে স্বাক্ষর লাগে। সেই সময়ে অধ্যক্ষকে না পাওয়ায় নিজেরাই স্বাক্ষর দিয়ে দেই। এতে তাদের অন্য কোন পরিকল্পনা ছিলনা। তিনি আশা করেন, কলেজের গভর্ণিং বডি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।