কলকাতায় এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক ; ভারতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কলকাতা২৪ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এমপির মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে।

ওই পোর্টালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটের মুখে খাস কলকাতায় বড় ঘটনা ঘটে গেল। খুন হয়ে গেলেন বিদেশি সংসদ সদস্য। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল কলকাতার নিউটাউন এলাকায়। মৃতের নাম আনোয়ার উল আজীম তিনি বাংলাদেশের সংসদ সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ইতোমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।

তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

বুধবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে।সীমান্ত এলাকা ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল আজীম আনার।

আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ বলেন, মারা যাওয়ার খবর অনেকেই বলছেন। কিন্তু এখনো আমরা শিউর কিছু বলতে পারছি না। ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এরপর ১৬ মে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল আজীম পশ্চিমবঙ্গে যান গত ১২ মে। পর দিন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে আর ফেরেননি জানিয়ে ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক জুয়েলারী ব্যাবসায়ি।

গোপাল বিশ্বাস জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘আনোয়ারুল আজীমের সঙ্গে তার ২৫ বছর ধরে পারিবারিক সম্পর্ক। ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আনোয়ারুল আজীম কলকাতার মণ্ডলপাড়া লেনে তার (গোপাল বিশ্বাস) বাড়িতে আসেন। তিনি কলকাতায় আসেন চিকিৎসা করাতে। পর দিন (১৩ মে) স্থানীয় সময় (কলকাতা) বেলা পৌণে ২টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বের হন আনোয়ারুল আজীম। যাওয়ার সময় তিনি (আনোয়ারুল) বলে যান, দুপুরে খাবেন না। সন্ধ্যায় ফিরে আসবেন। পরে তিনি কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে এসে নিজেই গাড়ি ডেকে চলে যান।’

জিডির তথ্য অনুযায়ী, আনোয়ারুল আজীম সন্ধ্যায় গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ফেরেননি।

বিষয়টি নিয়ে ১৯ মে ডিবি কার্যালয়েও যান আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। সে দিন তিনি বলেছিলেন, তিন দিন ধরে আমার বাবাকে ফোনে পাচ্ছি না। তার মোবাইল ফোনটি মাঝে মাঝে খোলা পাই আবার মাঝে মাঝে বন্ধ পাই। পরে এই বিষয়ে আমি ডিবি প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন। পরে আজকে আমি ওনার কার্যালয়ে আসি। তিনি আমাদের সহযোগিতা করছেন। বাবাকে ফোনে না পাওয়ার কারণেই মূলত আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। আমি নিজেও ভারতে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাব।