ময়মনসিংহে চাদাঁবাজির অভিযোগে ৫০ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
ময়মনসিংহে চাদাঁবাজির অভিযোগে ৫০ জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান হতে সড়ক ও মহাসড়কে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের সময় হাতেনাতে ৫০ জন চাঁদাবাজীর অভিযোগে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব -১৪ টিমের সদস্যরা । এ সময় চাদাঁবাজির জমানো ৬০ হাজার ৮শত ৬১ টাকা সহ কাশিগঞ্জ বাজার থেকে চাদাঁবাজদের কাছ থেকে লাঠিসোটা ও কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার ( ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ এর কার্যলয়ে প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মোঃ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ময়মনসিংহসহ সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে দেশের সকল শ্রেণীর নাগরিকগণ বাজার করতে গিয়ে দূর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা সবজি বাজারে অধিক দামে সবজি বিক্রয়ের ব্যাপারে জনমনে অসন্তোষ পরিলক্ষিত হয়। যেখানে পাইকারী বাজার এবং খুচরা বাজারে সবজির মূল্যে তারতম্য দেখা যায়। পণ্য উৎপাদনের স্থান হতে পাইকারী বাজারে পরিবহনের সময় দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ধাপে ধাপে চাঁদা দেয়ার কারণে পাইকারী বাজারে এসে বেড়ে যাচ্ছে সবজির দাম। যার মাশুল গুনতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের।
উক্ত জনদূর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ময়মনসিংহে এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৪, সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন ও এএসপি জাহিদ হাসান এর নেতৃত্বে সকাল ৮ থেকে ১১ পর্যন্ত ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য সর্বমোট ৫০ জন কে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চাঁদা আদায়ের নগদ ৬০,৮৬১ .টাকা, ৪৩ টি মোবাইল এবং বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়ের রশিদ।
তারাকান্দা উপজেলার কাশিগঞ্জ এলাকা থেকে ১৩ জন আটক। গ্রেফতার কৃত কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহের কাশিগঞ্জ এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত চাঁদাবাজির সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তারা ময়মনসিংহের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। গ্রেফতারকৃতরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতি রাতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পণ্যবাহী যানবাহন ময়মনসিংহের প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের নিকট অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করে থাকে। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি ভাংচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তারা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন হতে ১৫০-২৫০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে।

পণ্যবাহী কোন গাড়ি দেখলেই তারা লেজার লাইটের আলো নিক্ষেপ করে তা থামিয়ে কৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায় করে থাকে। বিশেষ করে মধ্য রাতে ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় যখন পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা প্রবেশ করে উক্ত সময় সড়কে এমন চিত্র শুরুহয়। উক্ত চক্র ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের নিকট হতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করেন।