কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২০ কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে কোটচাঁদপুর নাসিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিকের মালিক ও পৌর মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করেন। এই মামলার এজাহার নামীয় আসামী ক্লিনিকের আয়া গুলবানুকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধর্ষিতা নারী ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কোটচাঁদপুর স্থানীয় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতার স্বজন রাকিবুল হাসান, ঈসরাফিল হাসান ও গোলাম রসুল ছাড়াও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। নির্যাতিতা নারী অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারী ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে মৌলভী দিয়ে আজাদ আমাকে ভূয়া কাবিনে বিয়ে করেন। এমনকি তার সাথে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখার পরামর্শ দেয়। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে আমি আসামী আজাদকে ঘরে তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করি। গেল বছর ২৬ আগষ্ট বিকালে আজাদের সাথে দেখা করতে আমি নার্সিং হোমে আসি। এ সময় বাগ-বিতন্ডা হলে এক পর্যায়ে আজাদ মোবাইল ফোনে স্থানীয় পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামকে ক্লিনিকে ডেকে আনেন। এ সময় আজাদ হোসেন, নার্স রুমা ও গোলবানু আমাকে একটি কক্ষে আটক রাখে। পরে মেয়র জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি জানার জন্য আমার রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় আজাদ, রুমা ও গোলবানু বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। মেয়র জাহিদ একপর্যায় আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি আজাদ ও ক্লিনিকের আয়া ও নার্সদের জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারপিট করে তাড়িয় দেয়। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এতদিন কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি আমলে নিয়ে কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশ গত ১২ জানুয়ারি মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে। যার নং-১২(১)২০২০। ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারাসহ প্যানাল কোর্ডের ৩২৩/৩২৫। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা চলমান। মামলা দায়েরের পর থেকে অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। একটি মহল আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপূর্ণ করার জন্য এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে মামলায় জড়িয়েছে । Share this:FacebookX Related posts: কোটচাঁদপুরে ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী আটক মুক্তিপন নিয়েও শিশুকে হত্যা, ৩ আসামির যাবজ্জীবন কুষ্টিয়ায় শিশু অপহরণ মামলায় নারীর যাবজ্জীবন চিতলমারীতে পাগলী মায়ের সন্তান প্রসব, বাবার খোজ মেলেনি কোটচাঁদপুর পৌর মেয়রের কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল ‘চরিত্রহীন’ অপবাদ দিয়ে গৃহবধূর চুল কর্তন,আ’লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৭ বাগেরহাটে রাস্তার উপর কন্যা সন্তান প্রসব করোনাযুদ্ধে প্রথমসারির যোদ্ধা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালি সেন শিশুপাচার প্রতিরোধে সাংবাদিকদের সঙ্গে নাগরিক সংলাপ জমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণ করেন সিটি মেয়র দুই ভারতীয়সহ আটক ১৪ কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মহিলাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও উপকরণ বিতরণ SHARES Matched Content আইন আদালত বিষয়: কোটচাঁদপুরধর্ষণের অভিযোগপৌরসভাবিরুদ্ধেমেয়র