গফরগাঁওয়ে চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক হোমিও চিকিৎসককে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী রুবেল মিয়া (৩৮) নামে এক যুবক। এসময় নিহতের স্বজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর পিটুনিতে গুরুত্বর আহত হয় ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তার।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা পুলিশ ৪টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে ।

নিহত হারুন অর রশিদ ঐ ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামের মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে।ঘাতক রুবেল একই ইউনিয়নের নেওকা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হারুন অর রশিদ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে চা খাচ্ছিলেন। এসময় ঘাতক রুবেল রামদা নিয়ে জনসমক্ষে হারুন অর রশিদকে ধাওয়া করে বাজারের পাশেই এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে। দূর থেকে অনেকেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও এসময় ভয়ে কেউ হারুন অর রশিদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ও ঘাতক রুবেলের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। উত্তেজিত জনতা ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পাগলা থানা পুলিশ ৪টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এসময় পাগলা থানার ওসি খায়রুল বাসার, এসআই শেখ রফিকুল ইসলাম, এসআই মদন চন্দ্র সিং, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম আহত হয়।

পরে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাসেত মিয়া বলেন,পরষ্পর শোনতে পেলাম রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তারা উভয়েই প্রতিবেশী, তাদের মধ্যে কোনো বিরোধের ঘটনা জানা নাই।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ঢালী বলেন, ‘প্রকাশ্যে খুনের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রুবেলের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ আগুন নেভায়।’

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, মারা যাওয়ার সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘাতক রুবেল ও তার মা বিউটি আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কি কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত চলছে।