নোয়াখালীতে ভুয়া ডাক্তারের ২ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ল্যাবএইড হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টার থেকে হাবিবুর রহমান নামে নিউরো মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক পরিচয়ে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। একই সাথে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

দন্ডপ্রাপ্ত হাবিবুর রহমান (৪৭) রাজবাজী জেলার বালিয়াকান্দি থানার বাওনারা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আলীপুর এলাকার চৌমুহনী-মাইজদী প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত ল্যাবএইড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান আরো জানান, ভুয়া ডাক্তার রাকিব আহসান নামে নিজেকে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকার সহকারী অধ্যাপক ও নিউরো মেডিসেনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক এ জনসাধারণের সাথে প্রতারণা পূর্বক রোগী দেখার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আসিফ আল জিনাত সহ ল্যাবএইড ডায়াগনষ্টিক নোয়াখালী শাখায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অপরাধে হাবিবুর রহমানকে
মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত (ভূয়া ডাক্তার) নিজেকে ডা: রাকিব আহসান ও ডা: মো.রাকিব হাসান শুভ পরিচয় দিলেও তার প্রকৃত নাম হাবিবুর রহমান। গ্রেফতার আসামী নিজেকে এমবিবিএস ও নিউরো মেডিসেনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মেডিল্যাব জেনারেল হাসপাতাল, মানিকগঞ্জ, আলো ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ঈশ্বরদী, পাবনা, কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, বরগুনা, ভোলা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ভোলা, কমফোর্ট ডায়াগনষ্টিক ল্যাব, বরিশাল সহ দেশের বিভিন্ন সুমানধন্য হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা পূর্বক রোগী দেখার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এ সময় অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আসিফ আল জিনাত, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল।