‘নির্দেশ দিলে তাবিথের একটি পোস্টারও থাকত না’

প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আপনারাই দেখুন পুরো ঢাকায় তাবিথ আউয়ালের পোস্টার। ‍আমি যদি নির্দেশ দিতাম, আমাদের নেতারা যদি বলত পোস্টার ছিঁড়তে, তাহলে তাবিথ আউয়ালের একটি পোস্টারও থাকত না।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুর আলুব্দী ঈদগাহ ময়দানের পাশ থেকে তার সপ্তম দিনের গণসংযোগ শুরু করেন আতিকুল। প্রচারণা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত পথসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বুজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি, সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, নাজমা আক্তার, আমির হোসেন মোল্ল্যাহসহ কেন্দ্রীয় ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আতিকুল বলেন, আমি যদি বলতাম আমার নেতা কর্মীরা যদি বলতো, তাবিথ আউয়ালের কোনো পোস্টার ঢাকা শহরে থাকতো না। আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করব, আমাদের কোনো পোস্টার ছেড়া লাগবে না, কাউকে বাধা দেয়া লাগবে না। আমি বরং ওয়েলকাম করব, প্রয়োজন পড়লে আমি পোস্টার লাগিয়ে দেব কিন্তু ছিড়ব না। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের রাজনীতি। আমি বলব ৩০ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকুন, দেখুন জনগণ কাকে নির্বাচিত করে।

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে নির্বাচন পেছানোর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে আতিক বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যদি সম্ভব হয় অবশ্যই নির্বাচন পেছনো হোক। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এই দাবি করছি।নির্বাচিত হলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ডিএনসিসি’র প্রতিটি এলাকা এলইডি বাতির আলোয় আলোকিত ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আতিক বলেন, ঢাকা শহরের অলি-গলিতে বাতি নাই। বয়স্ক ও নারীরা নিরাপদে চলতে পারেন না। আমি যদি নির্বাচিত হই আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রতিটি এলাকায় এলইডির বাতি জ্বলবে।বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুনর্বাসন না করে কোন বস্তিবাসী উচ্ছেদ করা যাবে না। আমি নির্বাচিত হলে আইনি বিষয়টা দেখব। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট করা হবে। সেখানে কেউ ৭ দিনের জন্য থাকতে চাইলে সাতদিনের ভাড়া দেবে, আবার কেউ বছর ব্যাপী থাকতে চাইলে এক বছরের ভাড়া দেবে এরকম সিস্টেম করতে যাচ্ছি।তিনি বলেন, স্তব্ধ ঢাকাকে সচল ঢাকা দেখতে হলে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। আমি গত ৯ মাসে যে কাজ করেছি তার চেয়ে বেশি কাজ করে আপনাদের সচল, সবুজ, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা উপহার দেব। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে বললেন। প্রত্যেক ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে এসে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমের মাধ্যমে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।